শুরুতে হাসান মাহমুদ ও তাসকিনের তোপে রান করতেই হিমশিম খাচ্ছিল আয়ারল্যান্ড। প্রথম ১০ ওভারে চার উইকেট হারানো দলের হাল ধরেছিলেন টেকর ও ক্যাম্পার। কিন্তু মিডল ওভারে ইবাদত ও তাসকিনের তোপে তাদের প্রতিরোধ স্থায়ী হয়নি।
এরপর শেষের দিকে আর কোনো আইরিশ ব্যাটারই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। একপাশে কার্টিস ক্যাম্পার লড়াই করলেও তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১০১ রানেই গুটিয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড। সিরিজ জয়ের জন্য এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য মাত্র ১০২ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটাই তার প্রথম ফাইফার। এছাড়া তাসকিন তিন ও ইবাদত নিয়েছেন দুই উইকেট।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) টানা তৃতীয় ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরুতেই আইরিশ ব্যাটারদের চাপে ফেলে বাংলাদেশ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই দলকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন হাসান মাহমুদ। আইরিশ ওপেনার স্টিফেন ডোহেনীকে দলীয় ১২ রানে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়ে দেন এই ডানহাতি পেসার।
শুরু থেকেই একপ্রান্তে হাসান ও অন্যপ্রান্তে তাসকিন আহমেদ বল হাতে আগুন ঝড়িয়েছেন। আর তাতে বারবার খেই হারিয়েছেন আইরিশ ব্যাটাররা। ইনিংসের নবম ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা।
ওভারের প্রথম বলে আরেক আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিংকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন হাসান মাহমুদ। দলীয় ২২ রানে ফেরার আগে তার সংগ্রহ ছিল মাত্র সাত রান।
দুই বলের ব্যবধানে হাসানের তৃতীয় শিকার হন হ্যারি টেক্টর। এবারও লেগ বিফোরে ফাঁদে ফেলেন এই ডানহাতি পেসার। প্রথমে বোলার হাসানই নিশ্চিত ছিলেন না বল আগে ব্যাটে লেগেছে না প্যাডে। এরপর সময় নিয়ে রিভিউ নেন অধিনায়ক তামিম। রিভিউ নেওয়ার পর উইকেট শিকারের উল্লাসে মাতে টাইগাররা।
পরের ওভারেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ব্যালবার্নিকেও ফিরিয়ে দেন তাসকিন। ডানহাতি এই পেসার লেন্থ বুঝতে না পেরে ব্যালবার্নি ক্যাচ দেন স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তকে।
এরপর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন কার্টিস ক্যাম্পার ও লকরান টেকর। ইনিংসের ১৪তম ওভারে ইবাদত হোসেনকে তিন চার হাঁকিয়ে স্কোরের গতি সাবলিল করেন লকরন টেকর।
দুজনের ব্যাটে প্রাথমিক প্রাথমিক চাপ সামলায় আয়ারল্যান্ড। কিন্তু এরপর দলীয় ৬৮ রানে ইবাদতের জোড়া ধাক্কায় আবারও খাঁদের কিনারায় চলে গিয়েছে দলটি। ইনিংসের ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে টেকরকে ফিরিয়ে প্রথমে প্রতিরোধ ভাঙেন তিনি। পরের বলে জর্জ ডকরেলকে ফিরিয়ে আবারও আইরিশদের চাপে ফেলে দেন এই ডানহাতি পেসার।
১১ রানের ব্যবধানে ব্যাক ম্যাকবার্নিকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। এই ডানহাতি পেসারের বাউন্সার মারতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে নাসুম আহমেদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এক বলের ব্যবধানে মার্ক অ্যাডায়ের উইকেট উপড়ে ফেলেন তাসকিন।
তবে অন্যপাশে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল লেগে থাকলেও অন্যপ্রান্তে লড়াই করেছেন কার্টিস ক্যাম্পার। আট উইকেট হারালেও তার ব্যাটেই সম্মানজনক সংগ্রহের আশায় ছিল আইরিশ শিবির। তাকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন হিউম।
ইনিংসের ২৭তম ওভারে আয়ারল্যান্ডের শেষ ভরসা ক্যাম্পারকে ফিরিয়ে দেন হাসান। তার বাউন্সার সামলাতে না পেরে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে বিদায় নেন তিনি। এরপর হিউমকে ফিরিয়ে আয়ারল্যান্ডকে মাত্র ১০১ রানের গুটিয়ে দেন হাসান।
আপনার মতামত লিখুন :