• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির ম্যাচে মুশফিকের ‘৭০০০’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩, ০৬:৩৬ পিএম
রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির ম্যাচে মুশফিকের ‘৭০০০’
ছবি: ওয়ালটন

ইনিংসের শেষ বল, মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ৯৯ রানে। এর আগে ব্যাট হাতে সিলেটের মাঠে যে তাণ্ডব তিনি চালিয়েছেন, সেটা লম্বা সময় মনে রাখবে আইরিশ বোলাররা। লেগ স্টাম্পের ওপর করা নিচু ফুল টস ডেলিভারি মিড উইকেটের দিকে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল সম্পূরররণ করার আগেই মুশি শুরু করলেন উদযাপন।

হেলমেট খুলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো গর্জে উঠলেন দুই হাত উপরে দুই দিকে প্রসারিত করে। যেখানে এক হাতে ব্যাট আরেক হাতে হেলমেট। এটা কি শুধুই মুশফিকের ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি? উত্তরটা হবে মোটেও নয়।

এই সেঞ্চুরিতে রেকর্ড বইরের পাতা এলোমেলো করে দিয়েছেন মুশি। তার ৬০ বলে করা এই সেঞ্চুরিটা এখন বাংলাদেশের ইতিহাসে ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। এর আগে বাংলাদেশের পক্ষে এই রেকর্ড ছিল টাইগারদের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।

অন্যদিকে মুশফিকের নিজের দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল ৬৯ বলে, ২০১৫ সালে যেটা করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন মুশফিক। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে মুশফিকের জুটিত ৭৮ বলেই ওঠে ১২৮ রান।

দ্রুত উইকেট হারিয়ে তখন বাংলাদেশ একটু চাপে,  আইরিশ বোলাররা চেপে ধরার চেষ্টা করছেন। এ সময়েই যেন আইরিশ বোলারদের স্কুপ,  ড্রাইভ, ইনসাই-আউট, স্কয়ার শট হাতে কলমে শেখানো শুরু করেন মুশি। ১৪টি চারের সঙ্গে মুশফিক মেরেছেন ২টি ছক্কা। তার তাণ্ডবে রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়ছিল আইরিশরা।

শুধু দ্রুততম সেঞ্চুরি নয়, এদিন আরও একটি দারুণ মাইফলক স্পর্সজ করেছেন মুশি। ইনিংসের ৪২তম ওভারে ফিফটি পূর্ণ করেন মুশফিক। এর পরের ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারিতে তিনি স্পর্শ করেন সাত হাজার ওয়ানডে রানের মাইলফলক।

এর আগে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এই ম্যাচে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে একই কীর্তি গড়লেন মুশি।

সাত হাজার রানের ক্লাবে ঢুকতে ২৪৪ ম্যাচ ও ২২৯ ইনিংসে লেগেছে মুশফিকের। এ সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৪ ফিফটি ও ৯টি সেঞ্চুরিতে এসেছে ৭,০৪৫ রান।  

Link copied!