• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

টাইগারদের রেকর্ড গড়া জয়ে যত রেকর্ড


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩, ০২:৫২ এএম
টাইগারদের রেকর্ড গড়া জয়ে যত রেকর্ড
ছবি: ওয়ালটন

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে যেমন নিজেদের ইতিহাসে ওয়ানডতে সর্বোচ্চ স্কোর গড়েছে টাইগাররা তেমনি, আইরিশদের ১৮৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সর্বোচ্চ রানের জয়ের ইতিহাসও গড়েছে।

শুধু এই দুটি নয়, সিলেটে এক ম্যাচেই হয়েছে আরও অসংখ্য রেকর্ড। সংখ্যায় সংখ্যা সেগুলো সংবাদ প্রকাশের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

৩৩৮ রান

ওয়ানডেতে এটাই বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারের ৩৩৩ রান করেছিল টাইগাররা। একই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৩৩০ রান করেছিল বাংলাদেশ।

১৮৩

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের ১৮৩ রানের জয় রানের হিসেবে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে একই মাঠে ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬৯ রানের ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা।

অভিষেক ম্যাচেই ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটার তাউহিদ হৃদয়। এই ম্যাচেই তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে অভিষেক ম্যাচে ফিফটি করছেন তিনি। তবে আলো ছড়ানোর ম্যাচে মাত্র আট রানের জন্য মিস করেছেন সেঞ্চুরি। অভিষেকে ষষ্ট ব্যাটার হিসেবে নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়েছেন তিনি।

 ৪

অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই ম্যাচসেরা হলেন তাওহিদ হৃদয়। বাংলাদেশের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। এর আগে এই কীর্তি গড়েছেন সোহাগ গাজী, তাইজুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।

৭০০০

এই ম্যাচেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সাত হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বাংলাদেশি ব্যাটার সাকিব আল হাসান। এর আগে বাংলাদেশের মধ্যে এই কীর্তি ছিল শুধু তামিম ইকবালের।

সাকিবের ডাবল

এর আগে ইংল্যান্ড সিরিজে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন সাকিব আল হাসান। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে সাত হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের ডাবল আছে সাকিব ছাড়া মাত্র দুই জনের। যারা হলেন শ্রীলঙ্কান সনাৎ জয়াসুরিয়া ও পাকিস্তানি শহীদ আফ্রিদি। তবে সাকিব যেখানে এই কীর্তি গড়েছেন ২২৮ ম্যাচে সেখানে জয়াসুরিয়ার ৩৯৭ ও আফ্রিদির লেগেছিল ৩৪১ ম্যাচ।

৯০

ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা সাকিবকেও এদিন পুড়তে হয়েছে সেঞ্চুরি মিসের হতাশায়। ৯৩ রানে আউট হয়েছেন তিনি। ওয়ানডেতে এই নিয়ে চতুর্থবার নড়বড়ে নব্বইয়ের কাটা পড়লেন তিনি। সব তিন সংস্করণ মিলিয়ে এই নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অষ্টমবার ৯০ এর ঘরে থামলেন সাকিব।

এই নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয়বার দুই বাংলাদেশি ব্যাটার একই ইনিংসে নব্বইয়ের কাটা পড়লেন। এর আগে প্রথম ঘটনাতেও জড়িয়ে আছে সাকিবের নাম। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিব ৯৭ রানে ও নাসির থেমেছিলেন ৯৪ রানে।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মুশফিক এদিন পাঁচটি ক্যাচ নিয়েছেন। এর আগে বাংলাদেশের ইনিংসে পাঁচটি ডিসমিসালের ঘটনা রয়েছে দুইটি। প্রথমবার ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে এই ইনিংসে তিনটি ক্যাচ ও দুইটি স্টাম্পিং করেছিলেন। আরেকটি ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে মুশফিক পাঁচটি ক্যাচ ধরেছিলেন।

এই ম্যাচে বাংলাদেশের চার ব্যাটারকে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের পেসার গ্রাহাম হিউম। তিনিই প্রথম আইরিশ পেসার যিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৪ উইকেট পেলেন।

Link copied!