শেষ ষোলোতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সামনে বাধা ছিল রবার্ট লেভানডোভস্কির পোল্যান্ড। ম্যাচে জোড়া গোল করে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে শেষ ষোলোতে তুলেছেন এমবাপে। অপর গোলটি এসেছিল অলিভায়ের জিরুদের পা থেকে। শেষ মুহূর্তে স্বাত্বনার গোলে ব্যবধান কমায় পোল্যান্ড।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়ে ফ্রান্স ও পোল্যান্ড। শুরু থেকেই ধারণা ছিল হয়তো ম্যাচ হয়ে উঠবে জমজমাট। কিন্তু সেই ধারণা ছেটে ফেলে শুরু থেকেই পোলিশদের ওপর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। জয়ের ব্যবধান বড় হতে পারত, কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় ব্যবধান বড় না হলেও ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে ফরাসিরা।
ম্যাচের প্রথম দিকে ফ্রান্সের জিরুড প্রথমে গোল মিস করেন। পরে সেই তালিকায় যুক্ত হন পোল্যান্ডের লেভানডোভস্কিও। ২১ মিনিটে তার নেওয়া শট বারের একটু পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। ২৯ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ মিস করেন জিরুড। ফলে এগিয়ে যাওয়া এক রকম কঠিনই হয়ে ওঠে ফ্রান্সে জন্য।
পোলিশ গোলরক্ষক সেজনি আটকিয়ে দেন এমবাপের গোলও। পরে অবশ্য এমবাপে সেই প্রতিশোধ তুলেছেন জোড়া গোলে। এর আগে বিরতিতে যাওয়ার সময় ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ফ্রান্স।
ম্যাচের ৪৪ মিনিটে ওলিভার জিরুডের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। জিরুড ও এমবাপে বল দেওয়া নেওয়া করতে করতে এগিয়ে আসেন। এরপরেই বল জালে জড়ান জিরুড। এই গোলে ফ্রান্সের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন জিরুড।
বিরতি থেকে ফিরে আরও একবার সুযোগ মিস করেন এমবাপে। জোড়া সুযোগ মিস করা এমবাপে অবশ্য প্রায়শ্চিত করেন জোড়া গোলে। ৭৪ মিনিটের মাথায় গোল করে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপে। বারের ১০ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে আরও একবার বল জালে জড়ায় ফ্রান্স। এবারও স্কোরশিটে এমবাপের নাম ওঠে। একদম ক্রসবারের কোণা দিয়ে বল জালে ঢুকান তিনি।
ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট খানেক আগে পেনাল্টি পায় পোল্যান্ড। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন লেভানডোভস্কি। তবে ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিসের ভুলে আরও একবার শট নেওয়ার সুযোগ দেয় রেফারি। ওই সুযোগে লেভানডোভস্কি ব্যবধান কমান। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোল হেরে শেষ ষোলোতেই বাজলো পোল্যান্ডের বিদায় ঘণ্টা।
আপনার মতামত লিখুন :