টানা দুই ম্যাচ জিতে আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করায় ক্যামেরুনের বিপক্ষে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে প্রায় দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ তিতে। প্রথমার্ধ জুড়ে সেই দলই ক্যামেরুনের উপর আধিপাত্য দেখিয়েছে, তবে গোল আদায় করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই চিত্র! দুই দলই একের পর এক আক্রমণ করেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না। ম্যাচ যখন প্রায় নিশ্চিত ড্র হবে এমন ভেবে নিয়েছিল তখনই চমক দেখায় ক্যামেরুন। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে ক্যামেরুনকে লিড এনে দেন অধিনায়ক আবৌবাকার। তার গোলেই শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে চমক দেখালো ক্যামেরুন। প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে হারালো তারা।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ম্যাচের শুরু থেকেই ক্যামেরুনের উপর আধিপাত্য বিস্তার করতে থাকে ব্রাজিল। বল দখলে রেখে ক্যামেরুনে রক্ষণে একের পর এক আক্রমণে নিজেদের বেঞ্চের শক্তি দেখানো শুরু করে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
তবে ব্রাজিলের বৃষ্টিত মতো আক্রমণ প্রথমার্ধে দুর্দান্ত দক্ষতায় সামাল দিয়েছে ক্যামেরুন। আক্রমণে আধিপাত্য দেখালেও ফিনিশিং ব্যর্থতায় গোলের দেখা পাচ্ছিল না ব্রাজিল।
ব্রাজিলের আক্রমণ সামলে কয়েকবার পাল্টা আক্রমনে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ক্যামেরুন। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে তো গোল পেয়েই যাচ্ছিল তারা। তবে উড়ন্ত সেভে ব্রাজিলের দূর্গ অক্ষত রাখেন এই ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাওয়া গোলরক্ষক এডারসন।
এরপর আরও একাধিক চেষ্টা করেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। ফলে গোল শূন্য ব্যবধানেই বিরতিতে যায় দুই দল।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল যেন গোল মিসের মহড়ায় নেমেছিল! একের পর এক আক্রমণ হচ্ছিল কিন্তু কেউই গোল নামক সোনার হরিণের দেখা পাচ্ছিল না।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল যখন ড্র ধরে নিয়েছিলেন তখনই ব্রাজিলের ডেডলক ভাঙেন ক্যামেরুন গোলরক্ষক আবৌবাকার। ম্যাচের ৯২তম মিনিটে ডান পাশ থেকে নিখুঁত হেডে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। তার হেডে ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসনের চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না।
গোল দিয়েই জার্সি খুলে বুনো উল্লাসে মেতে ওঠেন তিনি! তবে আগেই একবার হলুদ কার্ড দেখায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। ম্যাচের বাকি সময়ে লিড ধরে রেখে ব্রাজিলের বিপক্ষে স্মরণীয় জয় তুলে নেয় তারা।
আপনার মতামত লিখুন :