ঘানার বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াইয়ে ২-০ গোলে জিতেছে উরুগুয়ে! কিন্তু অন্য ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়লেন সুয়ারেজ-কাভানিরা।
ম্যাচের আগে প্রতিশোধের আগুন জ্বলছিল ঘানা শিবিরে! ২০১০ বিশ্বকাপে সেই কুখ্যাত হ্যান্ডবলের জন্য ঘানার কাছে ভিলেন হয়েছেন উরুগুয়ের ফুটবলার সুয়ারেজের। এ ম্যাচের আগেও আলোচনায় উঠে এসেছিল সেটি!
ভাগ্যের কি খেলা! ম্যাচের প্রথমার্ধেও এবারও পেনাল্টি পেল ঘানা! যদিও আগেরবারের মতো এবারও পেনাল্টিতে গোল করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে দুর্দান্ত খেলা সুয়ারেজের দুই অ্যাসিস্টে মাত্র ছয় মিনিটের ব্যবধানে দুই গোলের দেখা পায় উরুগুয়ে। শেষ পর্যন্ত ওই ২-০ গোলের ব্যবধানেই জিতেছে উরুগুয়ে!
শুক্রবার (২ নভেম্বর) ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলা শুরু করে। ২৩তম মিনিটে এগিয়ে এসে বল ধরতে গিয়ে ফাউল করেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক। ভিএআরে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি। তবে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেনি ঘানা, বা দিকে ঝাপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত সেভ করেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক।
এর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় প্রথম গোলের দেখা পায় উরুগুয়ে। সুয়ারেজের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি ঘানা গোলরক্ষক লরেন্স আটি-জিগি। ছুটে গিয়ে আলগা বলে হেড করে জালে পাঠান জর্জিয়ান আররাসকায়েতা।
গোল হজম করে শোধ করা তো দূরের কথা, যেন খেই হারিয়ে ফেলে ঘানা। মাত্র ছয় মিনিটের ব্যবধানে আরও একটি গোল হজম করে দলটি। সুয়ারেজের উঁচু করে বাড়ানো বলে দারুণ ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন আররাসকায়েতা।
বিরতি থেকে ফিরেই ব্যবধান কমানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ঘানা। ওসমান বুকারির ক্রসে একটুর জন্য পা ছোঁয়াতে পারেননি কুদুস।
দ্বিতীয়ার্ধে যত সময় গড়িয়েছে ততই আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে ঘানা। কিন্তু শেশ পর্যন্ত একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেও উরুগুয়ের শক্ত রক্ষণে চীড় ধরাতে পারেনি তারা। ফলে ০-২ গোলের ব্যবধানে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
অন্যদিকে ঘানাকে হারিয়ে চোখের জলে বিদায় নেয় উরুগুয়ে। কারণ, সমান পয়েন্ট হওয়ায় গোল ব্যবধানে এগিয়ে উরুগুয়েকে টপকে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
আপনার মতামত লিখুন :