• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
কাতার বিশ্বকাপ

শঙ্কা কাটিয়ে জয় নিয়ে নকআউট পর্বে আর্জেন্টিনা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২২, ০৩:০৪ এএম
শঙ্কা কাটিয়ে জয় নিয়ে নকআউট পর্বে আর্জেন্টিনা

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড। ম্যাচ হারলেই থাকবে বিদায়ে শঙ্কা। এমন সমীকরণে মাঠে নামা ম্যাচের শুরুতে পেনাল্টি মিস করে একরাশ হতাশা উপহার দিয়েছিলেন দলের বড় তারকা লিওনেল মেসি। ওই হতাশা কাটিয়ে উঠে দুই তরুণের গোলে। পোলিশদের ২-০ গোলে হারিয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তাদের কাছে হেরেও নকআউট পর্বে উঠেছে পোল্যান্ড।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও পোল্যান্ড। শুরু থেকেই রবার্ট লেভানডোভস্কির দলের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবলেই নির্ভরশীল ছিল আলবিসেলেস্তারা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে অ্যাকুনা পেয়েছিলেন সহজ সুযোগ। ডি-বক্সে ঢুকে নেওয়া শট জালের ওপর দিয়ে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি।

এর ১২ মিনিট পর গোল মিসের মহড়ায় যোগ দেন লিওনেল মেসি। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ক্রস আলতো করে জালের দিকে ঠেলে দেন মেসি। কিন্তু প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার তা ক্লিয়ার করে দেওয়ায় আরও একবার বঞ্চিত হয়। ফিরতি শট থেকে গোল করার সুযোগ থাকলেও অ্যাকুনা তা কাজে লাগাতে পারেনি। তার নেওয়া কোনাকুনি শট বেরিয়ে যায় পোস্টের বাইরে।

ম্যাচের ৩৮ মিনিটে ডি-বক্সে মেসিকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে গোলরক্ষক সেজনির বিপক্ষে। রেফারি ভিএআরের সহায়তায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান। যদিও অনেকেই রেফারির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।

অবশ্য পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি মেসি। সেজনি মেসির নেওয়া শট আটকে দিয়েছেন সেজনি। এর মিনিট চারেক পর আলভারেজের নেওয়া শটও আটকান। ফিরতে শট আবারও সেজনিকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন অ্যাকুনা।

ম্যাচের প্রথমার্ধে আর কোনো সুযোগ তৈরি হয়নি। ফলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি কোনো দলের। গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। দ্বিতীয়ার্ধেও মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দল।

প্রথমার্ধের মতো পুরো ম্যাচেই ছিল আর্জেন্টিনার জয়জয়কার। বলের দখল কিংবা প্রতিপক্ষের জালে নেওয়া শট, সবদিক থেকেই এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচে ৭৩ শতাংশ সময় বলের দখল ধরে রেখেছিল লিওনেল মেসির দল। প্রতিপক্ষ পোল্যান্ডের জালে নেওয়া ২৩ শটের ১২ টাই ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে পোল্যান্ড আলবিসেলেস্তাদের জালে নিতে পেরেছিল মাত্র ৪ শট। যার একটিও কি-না রাখতে পারেনি লক্ষ্যে।

বিরতি থেকে ফেরার দ্বিতীয় মিনিটের মাথায় স্কোরশিটে নাম তোলেন ম্যাক অ্যালিস্টার। ডান পাশ থেকে মোলিনার পাওয়া ক্রস থেকে সেজনিকে বোকা বানান। তাতেই ১-০ ব্যবধানে আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দেন অ্যালিস্টার।

এর মিনিট পাঁচেক পর মেসি পেয়েছিলেন সুযোগ। শট নেওয়ার আগে তার নিজের পায়েই বল লেগে পাল্টে যায় গতিপথ। ফলে আর তখন আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি মেসিদের।

পরে আর্জেন্টিনার হয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন জুলিয়ান আলভারেজ। তরুণ এই তুর্কি এনজো ফার্নান্দেসের কাছ থেকে পাওয়া বল কোণাকুণি শটে জালে পাঠান। তাতেই ব্যবধান দ্বিগুণ হয় আলবিসেলেস্তাদের। মিনিট দুয়েক পরে মেসিও পান সুযোগ। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত আর কোনো দলই তৈরি করতে পারেনি সুযোগ। ফলে ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক আউট পর্ব নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।

Link copied!