কদিন আগেই তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে সফর করে বাংলাদেশ। দুই সিরিজের ফলাফলই বলে দেয় বর্তমান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অবস্থা।
সামনে এশিয়া কাপ। এ আসরকে সামনে রেখে নানা বিতর্ক মাড়িয়ে দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
কিন্তু ভাববার বিষয় এবারের এশিয়া কাপ হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। অথচ এ সংস্করেণে ভাল শুরু এনে দেওয়ার মত পরীক্ষিত কোনো ওপেনার নেই বাংলাদেশ দলে।
একদিকে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে আছেন লিটন দাস। অন্যদিকে মুমিন শাহরিয়ারও নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের পরিসংখ্যান সেকথাই বলছে। দলে নিয়মিত ওপেনার হিসেবে আছেন মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি খেলা পারভেজ ইমন।
তবে বিসিবির ডিরেক্টর ও জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলছেন, টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ব্যাটিং অর্ডারে জায়গা নির্ধারণ অতো চিন্তার বিষয় না।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমকে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, "বিজয় এবং ইমন ছাড়াও ওপেনিংয়ে আমাদের আরও বিকল্প রয়েছে। ওপেনিংয়ে সাকিব ও মুশফিক খেলতে পারে। মেহেদি মিরাজ কিংবা শেখ মাহেদিও ওপেনিংয়ে খেলতে পারে। ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আমি অত চিন্তিত না।"
দলের ক্রিকেটাররা ১৮০ রান করার মতো ব্যাটিং করুক এমনটাই চান টিম ডিরেক্টর। বড় রান করতে গিয়ে ১০০ বা ১১০ রানে আউট হলেও তিনি কিছু মনে করবেন না বলে জানিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
এ নিয়ে সুজন আরও যোগ করেন, “আমরা এই ফরম্যাটে ভালো করছি না, সেজন্য ভিন্ন ভাবে চেষ্টা করছি। যেন আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পাড়ি। সেজন্য সাকিবকে নেতৃত্বে ফেরানো হয়েছে। এই ফরম্যটের সেরা ক্রিকেটার সে। বিশ্বব্যাপী অনেক ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলেছে সে। তাছাড়া সাকিকে কিছুটা আগ্রাসী অধিনায়ক বলে আমার মনে হয়। সেজন্য আমরা তাকে দায়িত্ব দিয়েছি।”
গ্রুপ পর্বে ৩০ আগস্ট আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বংলাদেশের এশিয়া কাপ। ১ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্বের অপর ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। দুই দলই সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলছে। ওই গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে যাওয়া কঠিন। সুজন জানান, তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া নিয়ে শঙ্কিত। তবে ওই বাধা দল পেরোতে পারবে বলে আশা করছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :