• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
সাকিবকে পাপনের হুঁশিয়ারি

দলে থাকতে হলে ছাড়তে হবে বেটউইনার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২, ০৪:১৭ পিএম
দলে থাকতে হলে ছাড়তে হবে বেটউইনার

এশিয়া কাপে দলে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বিকেলে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, বেটউইনারের চুক্তি বাতিল না করলে দলে জায়গা হবে না তার।

ধানমন্ডিতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পাপন আরও জানান, এসব বিষয়ে তিনি আর কথা বলতে আগ্রহী নন। সাকিবের কারণে আজ এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ একাদশের নাম ঘোষণা করবে না বিবিসি। এ কারণে দল ঘোষণার তারিখ এক দিন পেছানো হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) থেকে পাওয়া বর্ধিত সময় অনুযায়ী এশিয়া কাপের জন্য আজকেই বাংলাদেশ দল ঘোষণা করার কথা। কিন্তু দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

বেটিং প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের মালিকানাধীন খেলার খবরের ওয়েবসাইট বেটউইনার নিউজের সঙ্গে সাকিবের চুক্তি নিয়ে এই জটিলতা শুরু হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল না করলে সাকিবের এশিয়া কাপ খেলা হবে না। বেটিং প্রশ্নে বিসিবির ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান। ফলে দেশসেরা অলরাউন্ডারের এ রকম একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্যদূত হওয়াটা দেশের আইন এবং ক্রিকেট নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাকিবের চুক্তি তারা মেনে নেবে না।

জানা গেছে, বেটউইনার নিউজের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি অব্যাহত রাখার পক্ষে নানা যুক্তি দিয়েছেন সাকিব। কিন্তু তাতে মন গলেনি বিসিবির। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, “আপনারা এ পর্যন্ত যেটুকু জেনেছেন, ঘটনাটি সেখানেই আছে। সিদ্ধান্ত হলেই জানতে পারবেন। আমাদের দেশে জুয়া নিষিদ্ধ। এ রকম একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো কিছুই দেশে অনুমোদিত নয়। এখন কেউ যদি ও রকম চুক্তি করে, তাহলে বিসিবির করণীয় কী?”

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্পোর্টস বেটিং হাউসের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সাকিব তার অবস্থানকে সমর্থন করেছেন। এ বিষয়ে তিনি জানান, ভারতে ওয়ানএক্সবেট নামের একই ধরনের একটি প্রতিষ্ঠানে ক্রিকেটারদের বিজ্ঞাপন করতেও দেখা যাচ্ছে। তাহলে বিসিবি বাধা দিচ্ছে কেন। অবশ্য তার এসব যুক্তি টেকেনি বিসিবির কাছে। কারণ, ওই সব দেশে স্পোর্টস বেটিং বৈধ। বাংলাদেশে অনুমোদন নেই। যে সংস্থার সঙ্গে সাকিবের সবশেষ বিজ্ঞাপনী চুক্তি হয়েছে, সেটির ওয়েবসাইট এখন বাংলাদেশে ব্লক করা আছে। 

 

Link copied!