অপরাজেয় তকমাটা নিজেদের ধরে রাখার মিশনে মাঠে নেমেছে ভারত-নিউজিল্যান্ড। রোববার (২২ অক্টোবর) ধর্মশালায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ড্যারি মিচেলের সেঞ্চুরিতে ভারতকে ২৭৪ রানের টার্গেট দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
ধর্মশালার পিচ রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ব্যাটাররা রান পাবে। তাই টস হারের পরও নিউজিল্যান্ডের জন্য স্বস্তির খবর হয়তো সেটাই ছিল। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে দেখা গেছে উলটো চিত্র। সামিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ হন কিউইদের দুই ওপেনার। ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই তারা ডেভন কনওয়ের উইকেট হারান। দলীয় ৯ রানের সময় শূন্য রান করা কনওয়েকে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ।
এরপর কিছুটা হাত খুলে খেলা শুরুর চেষ্টা করেন উইল ইয়াং। তবে, রাচিন রবীন্দ্রের সঙ্গে জুটি গড়ার আগেই তাকে ফিরতে হয় ১৭ রান করে। তার উইকেটটা নেন এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা মোহাম্মদ সামি। নিজের করা প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইকেট পান এই পেসার।
ভারতীয়দের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ব্ল্যাকক্যাপসরা তুলেন ৩৪ রান। এরপরই নিউজিল্যান্ডের হয়ে ম্যাচের হাল ধরেন রাচিন রবীন্দ্র ও ড্যারি মিচেল। ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে উইকেটে থিতু হয়ে হাত খুলে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। দুইজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি, করেন ১৫৯ রানের জুটিও। এই জুটি যখন রোহিতের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছিল তখনি ত্রাতা হিসেবে আবির্ভাব পেসার সামির। তুলে নেন রাচিনের উইকেট। ৮৭ বলে ৭৫ রান করে বিদায় নেন রাচিন রাবীন্দ্র।
এরপরই আবারও ব্ল্যাকক্যাপসদের ব্যাটিং বিপর্যয়। এরপরও একপাশ আগলে রেখে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন ড্যারি মিচেল। তুলে নেন সেঞ্চুরিও। কিন্তু তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি অন্য কেউ। তাই রান বেশি দূর এগোতে পারেননি কিউইরা। শেষ দিকে ম্যাচের এক বল বাকি থাকতে ১৩০ রান করে বিদায় নেন মিচেল।
ভারতের হয়ে ৫৪ রানে ৫ উইকেট নেন মোহাম্মদ সামি। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট পেলেন সামি।