• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
হকি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি

জিমি ম্যাজিক ও নাঈমের জোড়া গোলে প্রথম জয় সাকিবের পদ্মার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২২, ০৮:৩২ পিএম
জিমি ম্যাজিক ও নাঈমের জোড়া গোলে প্রথম জয় সাকিবের পদ্মার

 টানা দুই হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের দল মোনাক মার্টস পদ্মা। জিমির স্টিক যাদু ও নাঈম উদ্দীনের জোড়া গোলে সাইফ পাওয়ার টেক খুলনার বিপক্ষে পদ্মা জিতেছে ৬-৩ গোলের ব্যবধানে। 

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) মাওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে হকি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দিনের প্রথম খেলায় খুলনার মুখোমুখি হয়েছিল মোনার্ক মার্টস পদ্মা।

ম্যাচের শুরু থেকে একের পর এক আক্রমনে মোনার্ক মার্ট পদ্মার উপর আধিপাত্য বিস্তার করতে থাকে সাইফ পাওয়ারটেক খুলনা। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই দুর্দান্ত এক গোল করে সাইফকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক খোরশেদুর রহমান। 

গোল করে যেন আক্রমণের ধারা আরও বাড়িয়ে তোলে সাইফ। এর মধ্যে টানা দুইবার পেনাল্টি কর্ণারও পেয়ে যায় তারা। যদিও এর একটাতেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।

ম্যাচের একাদশ মিনিটে সমতায় ফেরে পদ্মা। বাম পাশ থেকে সাইফ গোলরক্ষক বিপ্লবকে বোকা বানিয়ে নিখুঁত দক্ষতায় লক্ষ্যভেদ করেন পদ্মার রাসেল মাহমুদ জিমি।

এরপর এক মিনিট পরই টানা তিনটি পেনাল্টি কর্নার পায় পদ্মা। কিন্তু কোনটাতেই গোল আদায় করতে পারেনি তারা।

দ্বিতীয় কোয়ার্টারে শুরু থেকেই ঝিমিয়ে পড়েছিল দুই দল। তবে এর মধ্যে ম্যাচের ২৩তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে পদ্মাকে এগিয়ে দেন ভার‍তীয় খেলোয়াড় সাইফ খান।

মাঝমাঠ থেকে জিমির এক দক্ষতায় নিয়ে যাওয়া বল পেয়ে বা পাশ থেকে নিখুঁত দক্ষতায় লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

দ্বিতীয় কোয়ার্টার শেষ হওয়ার আগে আরও এক গোলের দেখা পায় পদ্মা। ডান পাশ থেকে খুলনার গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করে  পদ্মাকে ৩-১ গোল ব্যবধানে এগিয়ে দেন মোঃ নাঈম উদ্দীন।

এরপর বাকি সময়ে আর বলার মতো আক্রমণ করতে পারেনি কেউ। তবে তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরু থেকে খুলনার রক্ষণে আক্রমণের পর আক্রমণ করতে থাকে পদ্মা। তবে ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় গোল পাওয়া হয়নি তাদের।  

ম্যাচের ৪১তম মিনিটে একক দক্ষতায় বল নিয়ে খুলনার বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন পদ্মার জিমি। তবে খুলনার খেলোয়াড়ারা নিয়মের বাইরে গিয়ে বাধা দিলে পেনাল্টি কর্নার পায় পদ্মা। কিন্তু জিমির হিটে কেউই ঠিকঠাক শট নিতে না পারলে গোল পাওয়া হয়নি পদ্মার।

পদ্মার আক্রমণ সামলে বেশ কয়েকবারই আক্রমনে যাওয়ার চেষ্টা করেছে খুলনা। তবে পদ্মার শক্ত রক্ষণের সামনে প্রতিবারই তাদের আক্রমণ খেই হারিয়েছে।

তৃতীয় কর্ণার শেষের একদম আগে খেলাত ফেরে খুলনা। ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি কর্ণারে আরাফাত ইয়াকুবের হিট থেকে লক্ষ্যভেদ করেন পঙ্কজ।

ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে পেনাল্টি কর্ণারে কৃষ্ণা কুমারের হিট থেকে গোল করে পদ্মাকে ৪-১ গোলে এগিয়ে দেন নাঈম উদ্দীন। ম্যাচে এটি তার জোড়া গোল।

পরের মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় পদ্মা। দারুণ এক গোল করে খুলনা কফিনে শেষ পেরেক পুরেন দেন আগের গোলের সহয়াতাকারী কৃষ্ণা কুমার।

এরপর ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে একক দক্ষতায় বল নিয়ে ঢুকে গিয়েছিলেন পদ্মার জিমি। অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে ফাউল করেন খুলনার গোলরক্ষক বিপ্লব। এ থেকে পাওয়া পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করে পদ্মার জাপানিজ খেলোয়াড় মিয়া তানিমিতসু।

ম্যাচ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে খুলনার অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় মর্টিজ ফ্রে এক গোল করে হারের ব্যবধানই শুধু কমিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৬-৩ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে পদ্মা।  

Link copied!