নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ একটা শুরু করে ভারত। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে বিনা উকেটে তুলে ফেলেন ৬৩ রান। আর ১৬ ওভারের আগেই দলটি স্কোরবোর্ডে জমা করেন ১০০ রান। শেষ ৩৭ রান তুলতে দলটি হারায় তাদের দুই ওপেনারকে। এরপরই মাঠে হাজির কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে ম্যাচটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। ম্যাচ বন্ধ হওয়ার আগে ভারতের সংগ্রহ ১৫ ওভার চার বলে ২ উইকেটে ১০০ রান। বন্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই শুরু হয়ে যায় ম্যাচটি। এই প্রতিবেদনটি লেখার আগে ভারতের সংগ্রহ ২৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩৫ রান।
ধর্মশালায় ভারতের ব্যাটিংয়ে দেখা মিললো উল্টো চিত্র। যেখানে শুরুতে ভারতের বোলারদের সামনে নড়বড়ে শুরু করেছিল কিউইরা সেখানে ম্যাচের পরবর্তীভাগে এসে ভারতীয় ব্যাটাররা শাসন করে ব্ল্যাকক্যাপস বোলারদের ওপর। ভারতের দুই ওপেনার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে। শুভমান গিল আর রোহিত শর্মার দারুণ ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটিতে ভারত পায় ৭১ রান।
৪০ বলে ৪৬ রান করে নিউজিল্যান্ডের পেসার লুকি ফার্গুসনের বলে বোল্ড হয়েছেন রোহিত। নিজের পরের ওভারেই গিলকে ফেরান তিনি। ৫ রানের মধ্যে রোহিত-গিলকে হারায় ভারত।
এরপর বিরাট কোহলির সঙ্গে জুটি গড়েন শ্রেয়াস আইয়ার। কিছুটা আগ্রাসী মনোভাবে ব্যাট করা আইয়ারকে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। ৩৩ রান করে শ্রেয়াস বিদায় নিলে বিরাটের সঙ্গে ভাঙে তার ৫২ রানের জুটি।
এর আগে, ড্যারিল মিচলের দুর্দান্ত শতকে ভারতের বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। শুরুতেই ১৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কিউইরা। সেখান থেকে রানের চাকা সচল রেখে দলকে বিপদমুক্ত করেন রাচিন রবীন্দ্র ও মিচেল। ৮৭ বলে ৭৫ রান করে রবীন্দ্র আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে শতক তুলে নেন মিচেল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান করে নিউজিল্যান্ড।