বিশ্বকাপে পাকিস্তানের যাত্রাটা হয়েছিল সুন্দর। প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পায় ৯২-এর চ্যাম্পিয়নরা। যেখানে আবার রেকর্ড জয় ছিল তাদের। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান চেজ করে তারা। এরপরই যেন দলটি ভুলে যায় জিততে। হারতে থাকে একের পর এক ম্যাচ। টানা চার ম্যাচ হারের পর আবারও জয়ের দেখা পেলেন বাবর আজমরা। তাদের হারা দেখে অনেকেই তাদের সেমিফাইনালের দৌড় থেকে বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু বাংলাদেশকে হারিয়ে সেই আশাটা আবার জাগিয়ে তুললো তারা।
৭ ম্যাচে তিন জয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে অবস্থান। সেমিফাইনালে যেতে হলে জিততে হবে পরের দুই ম্যাচ। পাশাপাশি কাগজ-কলমে হিসাবনিকাশ করতে হবে অন্যদের নিয়ে। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পরের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। কিউইদের বিপক্ষেই পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা। একসময় যাদের নিয়ে বলা হয়েছিল, হেসেখেলেই নিশ্চিত হবে সেমিফাইনাল। তারাই এখন আছে বাদ পড়ার শঙ্কায়। টানা তিন হারের পর এখন কিউইরা আটকে আছে ৮ পয়েন্টেই।
পরের ম্যাচে এই দুই দলেরই দেখা হচ্ছে। তাই বলতে গেলে এই ম্যাচটিই এখন মর্যাদা পাচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনালে। যেখানে নিউজিল্যান্ড জিতলে তারাই যাবে সেমিতে। আর পাকিস্তানকে জিততে হবে হিসাব মিলিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় হারের পর নিউজিল্যান্ডের নেট রানরেট অনেকটাই কমেছে। ৭ ম্যাচ শেষে তাদের নেট রানরেট এই মুহূর্তে +০.৪৮৪। সমান ম্যাচে পাকিস্তানের –০.০২৪।
নেট রানরেটে নিউজিল্যান্ডকে শনিবারই পেছনে ফেলতে তাই রানরেটের এই হিসাবও মেলাতে হবে বাবরদের। ম্যাচে পাকিস্তান আগে ব্যাটিং করলে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে হবে ৮৩ রানে। আর পরে ব্যাটিং করলে জিততে হবে ৩৫ ওভারের মধ্যে বা কমপক্ষে ৯০ বল বাকি রেখে। তাহলেই কেবল কিউইদের টপকে চারে চলে যাবে পাকিস্তান।
আর নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তান খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচেও পাকিস্তানের জয় দরকার। কারণ লঙ্কানদের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড জিতলেই যে কপাল পুড়বে তাদের।