ডেভিড মালানের সেঞ্চুরি ও জনি বেয়ারেস্টো এবং জো রুটের ফিফটিতে বাংলাদেশের সামনে রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছে ইংল্যান্ড। মালান খেলেন তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এ ম্যাচে জয় পেতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৬৫ রান।
টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু তার এ সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল তা প্রথম পাওয়ার প্লেতেই টের পায় বাংলাদেশ। ইংলিশদের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার দেখেশুনে উইকেটের চারপাশ থেকে রান আদায় করে নিয়েছে। বোলিং পরিবর্তন করেও যখন ব্রেক থ্রু আনতে পারছিলেন না তখন বল হাতে তুলে নেন সাকিব। এতে সফল হন তিনি।
দলীয় ১১৫ রানের সময় বেয়ারেস্টোকে বোল্ড করেন সাকিব। তার আগে বেয়ারেস্টো ৫৯ বলে ৮ চারের সাহায্যে ৫২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফ সেঞ্চুরি। আর আজকের ম্যাচটি ছিল ওয়ানডেতে তার শততম ম্যাচ।
অন্যদিকে, শরিফুল, সাকিব, মুস্তাফিজদের তুলোধুনো করে মালান তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক তুলে নেন। এরপরও এগিয়ে যাচ্ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে শেষ পর্যন্ত শেষ মেহেদীর বলে বোল্ড হয়ে ১৪০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মালান। মালান, বেয়ারস্টো ছাড়াও ফিফটির দেখা পেয়েছেন জো রুট। ৬৮ বলে ৮ চার এবং এক ছক্কার মারে ৮২ রান করেছেন রুট।
পরের গল্পটা শরিফুল ইসলাম ও শেখ মেহেদির। এমনিতে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জশ বাটলারকে ফিরিয়েছিলেন তিনি। পরে জাগিয়ে তোলেন হ্যাটট্রিক সম্ভাবনাও। টপ এজ হয়ে জো রুট ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিম, ততক্ষণে তিনি করেছেন ৬৮ বলে ৮২ রান। পরের বলেই লিয়াম লিভিংস্টোনকে গোল্ডেন ডাক উপহার দেন শরিফুল। হ্যাটট্রিকটা অবশ্য শেষ অবধি পূরণ করতে পারেননি তিনি।
অন্যপ্রান্তে থাকা হ্যারি ব্রুক এরপর হাত খুলতে শুরু করেছিলেন। তবে ৪৫তম ওভারে তাকে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান শেখ মেহেদি হাসান। বিদায়ের আগে ১৫ বলে ২০ রান করেন ব্রুক। এরপর স্যাম কারানকেও (১১) ফেরান মেহেদি। কারান উড়িয়ে মারেন লং অফের দিকে। সেখানে থাকা শান্ত দৌড়ে গিয়ে লাফিয়ে দারুণ এক দিৃষ্টি নন্দন ক্যাচ। এরপর আদিল রশিদ (১১)কে ফেরান এই স্পিনার এবং ১৪ রান করা ক্রিস ওকসকে বিদায় করেন তাসকিন আহমেদ। তবে ইংল্যান্ডকে অলআউট করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশের হয়ে ৮ ওভারে ৭১ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেয়েছেন শেখ মেহেদী। আর শরিফুলের ঝুলিতে গেছে ৩ উইকেট। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদ পেয়েছেন একটি করে উইকেট।