• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাল ইংল্যান্ড


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ০৭:১৪ পিএম
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাল ইংল্যান্ড

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিনেই ব্যাট হাতে ছিল ইংলিশদের দাপট। ম্যাড়মেড়ে ড্রয়ের শঙ্কা থাকা ম্যাচটিতে এসেছে ফল। শেষদিনের বিকেলে রোমাঞ্চ ছাড়ানো একটি জয় পেয়েছে ইংলিশরা। স্বাগতিক পাকিস্তানকে ৭৪ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বেন স্টোকসের দল।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট তাই ঐতিহাসিকভাবে ইংলিশদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ছিল। এই ম্যাচ জিতেই সিরিজে ১-০ ব্যবধানে লিড নিয়েছে তারা। দ্বিতীয় টেস্টে মুলতানে মুখোমুখি হবে দুই দল।

রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম দিনে চার উইকেট হারিয়ে ৫০৬ রান তোলে ইংলিশরা। টেস্টে যেকোনো দিনে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল এটি। দ্বিতীয় দিনে অবশ্য তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইংলিশদের ব্যাটিং লাইন আপ। শেষ পর্যন্ত ৬৫৭ রানে থামে ইংলিশদের ইনিংস।

জবাবে পাকিস্তানের শুরুটাও ছিল দারুণ। উদ্বোধনী জুটিতে আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হকের সেঞ্চুরিতে ২২৫ রান তোলে পাকিস্তান। চার নম্বরে নেমে অধিনায়ক বাবর আজম খেলেন ১৩৬ রানের জুটি। পরে পাকিস্তান অবশ্য তাদের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। ফলে ৫৭৯ রানেই অলআউট হয় বাবর আজমের দল।

প্রথম ইনিংসে ইংলিশ বোলারদের মধ্যে চমক দেখিয়েছেন উইল জ্যাকস। টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিং ব্যাট করা অনিয়মিত এই বোলার একাই ৬ উইকেট নিয়ে ধসিয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন। এছাড়াও নিয়মিত স্পিনার জ্যাক লিচ শিকার করেন ২ উইকেট।

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ছিল ইংলিশ ওপেনার জ্যাক ক্রুলির দাপট। ৪৭ বলে ফিফটি করে মোহাম্মদ আলীর বলে ক্যাচ হয়ে ফেরেন। চতুর্থ উইকেটে ৯৬ রানের ভালো জুটি গড়েছেন জো রুটো ও হ্যারি ব্রুক। তবে দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি করলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি কেউই। ৭৩ রানে জহির মাহমুদ রুটকে ফেরানোর পর ৮৭ রান করে ব্রুক আউট হয়েছেন নাসিম শাহের বলে বোল্ড হয়ে।

শেষদিকে আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারায় ৭ উইকেটে ২৬৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন ইংলিশ কাপ্তান স্টোকস। আগের লিড থাকায় ম্যাচ জিততে শেষ ইনিংসে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪৩ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা এবার আর ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দলীয় ২৫ রানেই প্রথম দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তবে আজহার আলী ও ইমাম-উল-হকের জুটিতে কিছুটা মেরামত হয় সে ক্ষতি। এরপরই অ্যান্ডারসন ও অলি রবিনসনের তোপের মুখে পড়ে তারা।

শেষদিকে সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের লড়াকু পারফরম্যান্স আশা জাগিয়েছিল বেশ। কিন্তু অ্যান্ডারসন ও রবিনসনের তোপ সামলাতে পারেনি পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। ৭৪ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাবর আজমের দলকে। 

Link copied!