• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ওয়ার্নার-মার্শের শতকে পাকিস্তানকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম
ওয়ার্নার-মার্শের শতকে পাকিস্তানকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া
ছবি: সংগৃহীত

‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’ এই প্রচলিত কথাটি যেন সত্য হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের জন্য। দলটির বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে অজিরা দারুণ এক স্কোর দাঁড় করিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ছাড়ার মাশুল দিতে হলো পুরো পাকিস্তান দলকে। এরপর পাকিস্তান বোলারদের বেধড়ক পিটিয়েছেন দুই ওপেনার মিশেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। সে সঙ্গে দুজনই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। এতে করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৭ রান সংগ্রহ করেছে। ম্যাচে পাকিস্তানকে জিততে হলে বিশ্বকাপে আরেকবার রান চেজের রেকর্ড গড়তে হবে।

ওপেনিংয়ে নেমে দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন দুই ওপেনার মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম পাঁচ ওভার থেকে তারা রান তোলে মাত্র ২৭ রান। তবে দলীয় ২২ রানের সময় শাহীন আফ্রিদির বলে ওয়ার্নারের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন উসামা মীর। তখন ওয়ার্নারের রান ছিল ১০। এরপর পাকিস্তানের বোলারদের আর কোনো সুযোগ দেননি। পাকিস্তান বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে তুলে নেন ৮২ রান।

এরপরও এই দুই ব্যাটারের চলে তান্ডব। দুজনই তুলে নেন শতক। গড়েন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি ২৫৯ রান। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে কানাডার বিপক্ষে ১৮৩ রান ছিল এতদিন সেরা।

২৫৯ রানের পর ভাঙে এই জুটি। মিচেল মার্শকে ফেরান আফ্রিদি। আউট হবার আগে মার্শ করেন ১০৮ বলে ১২১ রান। যেখানে ১০ চারের সঙ্গে রয়েছে ৯টি ছয়। তার ক্যাচটি ধরেন সেই উসামা মীর যিনি ওয়ার্নারের দুবার ক্যাচ ছেড়েছেন। অবশ্য মার্শের পরের বলেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান আফ্রিদি।   ম্যাক্সওয়েল ফেরেন গোল্ডেন ডাকে।

এরপর বেশিক্ষণ উইকেটে ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গ দিতে পারেননি স্টিভ স্মিথ। দলীয় ২৮৪ রানের সময় ৭ রান করা স্মিথকে ফেরান উসামা মির।

তবে একপাশ আগলে রেখে পাকিস্তান বোলারদের বেধড়ক পিটাচ্ছেন ওয়ার্নার। এরই মাঝে করে ফেলেছেন দেড়শ রান। তবে দেড়শ পর নিজের স্কোরটা বড় করতে পারেনি। ১৬৩ রান করা ওয়ার্নারকে ফেরান হারিস রউফ। যার ওপর দিয়ে আজ ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার বেশি তান্ডব চালিয়েছে। ১৬৩ রানের ইনংসটি ওয়ার্নারের সাজানো ছিল ৯ ছয় ও ১৪ চারে।

ওপেনিং জুটিতে এমন উড়ন্ত সূচনার পর অজিদের সংগ্রহ চারশ পেরোবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু রানের সেই গতি টেনে নিতে পারেননি মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। ২৫৯ রানে প্রথম উইকেট হিসেবে মার্শ যখন বিদায় নেন তখনও অজিদের হাতে বল বাকি ছিল ৯৭টি। তবে শেষ ৮ ব্যাটসম্যান সেই বল থেকে তোলেন ১০৮ রান। অজিদের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রানে। পাকিস্তানের সফল বোলার শাহীন শাহ আফ্রিদি। এই পেসার তুলে নিয়েছেন অজিদের পাঁচ উইকেট।

খেলা বিভাগের আরো খবর

Link copied!