২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে কলকাতা টেস্টে সর্বশেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এরপর ৩৪ মাস কেটে গেলেও তার ব্যাটে আসেনি কোনো সেঞ্চুরি। ফরম্যাট কিংবা প্রতিপক্ষ বদলালেও কাঙ্ক্ষিত সেই সেঞ্চুরি যেন অধরাই থেকে গেছে। তবে এশিয়া কাপের মঞ্চে নিজেকে পুরোনো রুপে ফেরানোর ইঙ্গিত দিয়ে রাখা বিরাট এবার আর ভুল করেননি। এশিয়া সেরার মঞ্চেই তুলে নিয়েছেন নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৭১তম সেঞ্চুরি।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে টস হেরে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা একাদশ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় ওপেনিংয়ে নামেন বিরাট কোহলি।
মাঠে নেমেই আফগান বোলারদের শাসন করে ব্যাটিং শুরু করেন কোহলি। ৫৩ বলে তুলে নেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৭১তম সেঞ্চুরি। এটি টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার প্রথম সেঞ্চুরি।
ভারতের ইনিংসের ১৯তম ওভারে ফরিদ আহমেদকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিরাট কোহলি। শেষ পর্যন্ত ১২২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ভারতের হয়ে এই ফরম্যাটে এটাই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এমনকি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও এটা বিরাটের সর্বোচ্চ ইনিংস।
২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭০তম সেঞ্চুরির দেখা পান বিরাট কোহলি। ৭১তম সেঞ্চুরি পেতে বিরাটের অপেক্ষাটা ছিল ১০২০ দিন। হাজারের বেশিদিন পর সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া বিরাট নিজের এই সেঞ্চুরি উৎসর্গ করেছেন স্ত্রী আনুষ্কা শর্মাকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক সময় রান মেশিন হয়ে উঠা বিরাট কোভিড মহামারির পর থেকেই হয়ে উঠেছিলেন নিজের ছায়া। বহু চেষ্টার পর সেই ছায়া থেকে বের হয়েছেন এই ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি রিকি পন্টিংয়ের সাথে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক বিরাট কোহলি। তাদের উপরে এখন অবস্থান করছেন একমাত্র শচীন টেন্ডুলকার।
নিজের ৭১তম সেঞ্চুরি স্ত্রী আনুষ্কা শর্মা ও কন্যা ভামিকাকে উৎসর্গ করে কোহলি বলেন, “আপনারা আমাকে এখানে দেখছেন একজন মানুষের জন্য। তিনি হলেন আমার স্ত্রী আনুষ্কা। এই শতকটি আমার স্ত্রী ও আমাদের কন্যা ভামিকার জন্য। আমি ফিরতে চেয়েছিলাম, তবে এর জন্য অতিরিক্ত কিছু করে মরিয়া ছিলাম না।”
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ফাইনাল না খেলেই বিদায় নিতে হবে ভারতকে। তবে এই টুর্নামেন্টে ভারতের পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেছেন কোহলি। টুর্নামেন্টে ভারত ব্যর্থতার খাতায় নাম লেখালেও কোহলি রানে ফিরেছেন, এটাই প্রাপ্তি তাদের জন্য। বিশ্বকাপের আগে বিরাটে রানে ফেরাটা যে ছিল বেশ জরুরি।





































