চীনের রকেট মানেই যেন এক আতঙ্কের নাম। গত বছর মহাকাশ গবেষণার কাজে উৎক্ষেপণ করা এক চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে। এবার চাঁদে চীনের নভোযান পৌঁছে দেওয়া আরেক রকেটের ধ্বংসাবশেষ ছিটকে পড়তে যাচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহতে।
চীনের মহাকাশ স্টেশনের নির্মাণে সহায়তায় ২০২১ সালের ২৯ এপ্রিল ওয়েনচং থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় লং মার্চ ফাইভ-বি রকেটটি। এর একটি বিচ্ছিন্ন অংশের ধ্বংসাবশেষ ৯ মে পৃথিবীর দিকে ফিরে আসতে শুরু করে।
২১ টন ওজনের এই ধ্বংসাবশেষ জনবহুল এলাকায় পড়লে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত এটি ভারত মহাসাগরে মালদ্বীপের জলসীমায় গিয়ে পড়ে।
এবার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, মার্চের শুরুতে চাঁদে বিধ্বস্ত হতে পারে চীনের ২০১৪-০৬৫বি নামের আরেকটি রকেটের ধ্বংসাবশেষ। এটি মূলত চাঁদে অবতরণকারী চীনা নভোযান চ্যাং’ই ফাইভের উৎক্ষেপণের কাজে সহায়তা করতেই মহাশূন্যে ছিল।
তবে অভিযান শেষে এই অতিরিক্ত অংশটি বর্জ্য হিসেবে মহাকাশেই রয়ে যায়। নাসার তথ্যের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ৪ মে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এটি চাঁদের পৃষ্ঠে আছড়ে পড়বে।
তবে জনমানবশূন্য উপগ্রহটিতে পৃথিবীর মতো প্রাণহানির কোন আশঙ্কা নেই। বরং চাঁদের পৃষ্ঠে এর বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট গর্তটি ভবিষ্যতে গবেষণা সুযোগ করবে বলে আশা করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
গত মাসে শুরুতে অনেক গবেষক ভুলবশত এটিকে মার্কিন রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের রকেট বলে উল্লেখ করেন। তবে পরবর্তী সময়ে তারা এটিকে চীন তৈরি রকেট হিসেবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হন।