মানুষের চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে তথ্য ব্যবস্থাপনা করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে অতি অল্প সময়ে নিখুঁত সিদ্ধান্ত নিতে পারে এই প্রযুক্তি। পাশাপাশি এটি মানুষের মতোই শিখে। বরং কিছু ব্যাপারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মস্তিষ্কের থেকেও উন্নত। তাই যেকোনো শিল্প বা উদ্যোগের প্রসার ঘটাতে এর আছে অনন্য ক্ষমতা।
বিবিসি ক্লিকের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, নেদারল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠান একটু ব্যতিক্রম কাজে ব্যবহার করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তারা সুগন্ধি তৈরিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য এগিয়ে এসেছে। সেই সুগন্ধি আবার কোনো সাধারণ সুগন্ধি নয়। ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য ও পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে স্বতন্ত্র সুগন্ধি তৈরি করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
এই প্রক্রিয়ার শুরু হয় একটি স্মার্টফোনে। সেখানে একটি অ্যাপে দিতে হয় ব্যক্তির বিভিন্ন তথ্য, তার পছন্দ-অপছন্দ এবং নানা প্রশ্নের উত্তর। তারপর নিজের সুগন্ধির জন্য দিতে হয় একটি নাম। এই ধাপটি শেষ করলেই কাজ শুরু করার জন্য যতেষ্ট তথ্য পেয়ে যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। প্রাপ্ত তথ্যকে বিশ্লেষণ করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই নানা সুগন্ধি উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি সুগন্ধি বোতলজাত করা হয়। ব্যক্তির তথ্যের সাথে মানানসই এই সুগন্ধিটি বানায়, এই প্রযুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি মেশিন।
এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নিজেদের জন্য বিশেষ সুগন্ধি বানিয়েছেন। পাশাপাশি তাদের জানানো প্রতিক্রিয়া থেকেও তথ্য সংগ্রহ করে নিজে উন্নত করে এই প্রযুক্তিটি।
বর্তমানে পুরো বিশ্বে বাৎসরিক সুগন্ধি ব্যবসার আকার প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এই বিশাল বাজারে ভিন্ন ধরনের অবদান রাখতে পারবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি এই খাতকে আরও উন্নত করে গ্রাহকের পছন্দকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে কাজ করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজেও।
আপনার মতামত লিখুন :