• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

মানুষের জিনোম রহস্যের শতভাগ উন্মোচন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২২, ০৬:২৬ পিএম
মানুষের জিনোম রহস্যের শতভাগ উন্মোচন
ছবি : রয়টার্স

প্রথমবারের মতো মানুষের জিনোম রহস্যের সম্পূর্ণ রূপ উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর আগে ২০০৩ সালে জিনোম রহস্যের ৯২ শতাংশ পর্যন্ত উন্মোচন করতে পেরেছিলেন বিজ্ঞানীরা। বাকি ৮ শতাংশ রহস্য উন্মোচন করতে প্রায় দুই যুগ সময় লেগেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা টেলোমেয়ার টু টেলোমেয়ার কনসোর্টিয়ামের প্রায় ১০০ বিজ্ঞানী এই রহস্য প্রকাশ করতে কাজ করেন। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী সায়েন্সে প্রকাশিত হয় তাদের গবেষণাপত্রটি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ২০০৩ সালে হিউম্যান জিনোম প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা মানুষের জিন রহস্যের ৯২ শতাংশ উন্মোচন করতে সফল হন। তবে বাকি ৮ শতাংশ ডিএনএর জটিল গঠন প্রকাশ করতে পারেননি।

এর দুই দশক পর এই বিজ্ঞানীরা সেই ৮ শতাংশ জিনের রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি হিউম্যান জিনোমের শতভাগ প্রকাশ করতে সফল হয়েছেন।

বিজ্ঞানীদের করা পূর্ণাঙ্গ গবেষণায় ডিএনএর জিনে থাকা ৩০৫ কোটি ৫০ লাখ বেইজ পেয়ার শনাক্ত করা গেছে। এগুলো হচ্ছে ক্রোমোজম ও জিনের মূলভিত্তি। এগুলোর মধ্যে অতিগুরুত্বপূর্ণ ১৯ হাজার ৯৬৯টি প্রোটিন সমৃদ্ধ জিন রয়েছে।

এদের মধ্যে এবার নতুনভাবে দুই হাজারটির রূপ ও প্রকৃতি বের করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। এদের অধিকাংশই সুপ্ত অবস্থায় থাকে। কেবল সক্রিয় থাকে ১১৫টি।

এই গবেষণা দলে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের অধ্যাপক ইভান ইছলার। তিনি বলেন, “ডিএনএর ধরনে পার্থক্য হয় তা বুঝতে সহায়তা করবে এই গবেষণা। এছাড়া এই বৈচিত্র্য ও তফাত কীভাবে জিনগত রোগ নিরাময়ে কাজ করবে তা জানাবে গবেষণাটি।”

ন্যাশনাল হিউম্যান জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইরিক গ্রিন বলেন, “এই গবেষণা বিজ্ঞানের যাত্রায় অবিশ্বাস্য সফলতা। গবেষণাটিতে পরিপূর্ণভাবে উঠে এসেছে আমাদের ডিএনএএর সবদিক। এটিকে বলা যেতে পারে মানব ডিএনএর ব্লুপ্রিন্ট।

নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা আরও ২০ লাখ নতুন জিনের শ্রেণিবিন্যাস করতে পেরেছেন। এদের মধ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এখন পর্যন্ত ৬২২ জোড়া নিয়ে কাজ চলছে।

Link copied!