• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মানুষের রক্তে প্লাস্টিক দূষণ : গবেষণা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২২, ০৮:৪১ পিএম
মানুষের রক্তে প্লাস্টিক দূষণ : গবেষণা

মানুষের শরীরে প্রথমবারের মতো মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। যা মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গে স্পষ্টভাবে নিজের স্থান করে নিতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু মানুষের স্বাস্থ্যে এই কণার প্রভাব সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি গবেষণাটি।

এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এর জন্য অর্থায়ন করেছে ‘ডাচ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’। সহযোগী ছিল প্লাস্টিক দূষণরোধে কাজ করা সামাজিক সংগঠন ‘কমন সিজ’।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদন এ গবেষণার বিষয়ে জানিয়েছে।

গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গবেষণার ২২ জন রক্তদাতার নমুনা পর্যালোচনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। অংশগ্রহণকারী ৮৪ শতাংশ (১৭ জন) মানুষের দেহে প্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে। তারা সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।

এর মধ্যে অর্ধেক নমুনায় পিইটি প্লাস্টিক পাওয়া গেছে; যা পানির বোতলে সাধারণত ব্যবহার করা হয়। এক তৃতীয়াংশের নমুনায় পাওয়া গেছে পলিস্টাইরিন; এটা খাবার ও অন্যান্য পণ্য প্যাকেটজাত করতে ব্যবহৃত হয়। আর এক চর্তুথাংশের নমুনায় পাওয়া গেছে প্লাস্টিক ব্যাগ নির্মাণে ব্যবহৃত পলিথিলিন।

এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয় ভিইউ আমস্টারডামের ইকোটক্সিকোলজিস্ট অধ্যাপক ডিক ভেথাক।

তিনি বলেন, ‘রক্তে যে পলিমার কণার উপস্থিতি রয়েছে তার প্রথম প্রমাণ আমাদের গবেষণা। এটি একটি যুগান্তকারী ফলাফল। কিন্তু আমাদের গবেষণার ব্যপ্তি ও নমুনার সংখ্যা বাড়াতে হবে। এ জন্য একাধিক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আরও গবেষণা চলমান রয়েছে।’

অধ্যাপক ডিক ভেথাক আরও বলেন, ‘এটা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। আমরা জানি এসব রাসায়নিক কণা শিশু ও তরুণদের জন্য আরও বেশি ক্ষতিকর। এটা আমাকে অনেক বেশি ভীত করে।’

গবেষণাগারে মাইক্রোপ্লাস্টিক মানব কোষের ক্ষতি সাধন করেছে। এতে গবেষকরা উদ্বিগ্ন। বায়ু দূষণের কণা ইতোমধ্যে মানবদেহে প্রবেশে করেছে। যা আগেইজানা গেছে। এর ফলে প্রতি বছর লাখো মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

অন্যদিকে সুমুদ্রে ফেলা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ প্রাস্টিক বর্জ্য। এতে মাইক্রোপ্লাস্টিক পুরো পৃথিবীকে দূষিত করছে। মাউন্ট এভারেস্ট থেকে শুরু করে মহাসাগরের গভীর তলদেশও বাদ পড়ছে না। খাবার ও পানিসহ নিশ্বাসের সঙ্গে ক্ষুদ্র কণাটি গ্রহণ করছে মানুষ। ইতোমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মলে এই কণার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।

Link copied!