ভারতের গুজরাত অঞ্চলের মানসুখভাই প্রজাপতি ২০০১ সালে মাটি দিয়ে বানিয়েছিলেন একটি ফ্রিজ। সেই ফ্রিজ বিদ্যুৎ ছাড়াই চলে এবং দামও বেশ কম।
কয়েক বছরের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়েছে ফ্রিজটি। এখন রপ্তানিও করছেন তিনি। সাধারণ বাষ্পীভবনের নীতি মেনে কাজ করে মাটির তৈরি এই ফ্রিজ। মানসুখভাই তার এই আবিষ্কারটির নাম দিয়েছেন মিট্টিকুল।
মানসুখভাই প্রজাপতি
গুজরাতের বাসিন্দা হিরাবেন জানান, তিনি ১৫ বছর যাবত ব্যবহার করছেন মিট্টিকুল। কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার ছাড়াই তিনি শাক-সবজি, ফলমূল ও দুধ সংরক্ষণ করতে পারেন। পাশাপাশি স্বাদ ও গন্ধ থাকে একদম তাজা। তার মতে বিদ্যুতের ফ্রিজে সেগুলো সংরক্ষিত থাকলেও তাজাভাবটা থাকে না।
ফ্রিজটির উপরের অংশে থাকে প্রায় ১৮ লিটার পানি, সেই পানি ফ্রিজের দেয়ালের ভেতর দিয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় নামে এবং ধীরে ধীরে বাষ্প হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পানি ঠান্ডা রাখে ফ্রিজের ভেতরের অংশকে। ফ্রিজের তাপমাত্রা ও ঘরের তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য হয় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি। ফ্রিজটি থেকে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ারও ব্যবস্থা আছে।
মনসুখভাই এখন প্রতিদিন গড়ে ১০ টিরও বেশি ফ্রিজ বিক্রি করেন। প্রতিটির দাম পড়ে ৫-৮ হাজার টাকার মতো। তার মতে অনেকেই আছেন যাদের ফ্রিজ কেনার টাকা নেই বা বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। আবার এমনও আছেন যারা ফ্রিজ কিনতে পারবেন, তবে প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল বহন করতে পারবেন না। এমন সবাই সাচ্ছন্দ্যে এই ফ্রিজটি ব্যবহার করতে পারবেন।
এক একটি ফ্রিজ তৈরি করতে সময় লাগে ১০ দিন। ওজন প্রায় ২৫ কেজি।
আপনার মতামত লিখুন :