তিন কারণে জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মিছিল বের করে দলটি, পরে তা কাকরাইলে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে মসজিদের উত্তর গেটে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলটির নেতারা। বক্তব্যে তারা ভারতের কর্ণাটকে নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদ, দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং মদের অবাধ অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। মূলত এই তিন কারণেই তাদের বিক্ষোভ ও সমাবেশ।
সমাবেশে বক্তরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “পবিত্র কোরআনের বিরুদ্ধে যে রাষ্ট্র গিয়েছে, সেই রাষ্ট্র ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে। কারণ মুসলিমরা এমন এক জাতি, যারা নিজের রক্ত দিয়ে হলেও ইসলামের অধিকার আদায় করে। হিজাব ইমানের অঙ্গ। ভারত সরকার এই হিজাব নিষিদ্ধ করে যে স্পর্ধা দেখিয়েছে, তার প্রতিদান দেশটিকে দিতে হবে।”
দেশে মদের লাইসেন্স অবাদ হতে দেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন বক্তরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, “ভারতের কর্ণাটকে নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে মুসলিমদের কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে।” মোদি সরকারকে বুঝিয়ে দিতে হবে মুসলিমরা কখনো মাথা নত করে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, “ইসলামে মদকে হারাম বলা হয়েছে। শেখ মুজিব দেশে মদ নিষিদ্ধ করেছিলেন। আর এ সরকার হালালের চেষ্টা করছে।” যারা শেখ মুজিবের আদর্শ ধারণ করেন, তাদেরও উচিত মদ নিষিদ্ধের দাবিতে সোচ্চার থাকা এবং এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামা বলে আমি মনে করি।
মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন। দেশে নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ছে উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির বলেন, “মধ্যবিত্তের লোকজনও লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির পণ্য কিনছে। সেদিকে সরকারের ভ্রুক্ষেপ নাই।” সারা বিশ্বে যখন কেরোসিনের দাম কমে, বাংলাদেশে তখন বাড়ে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ফয়জুল করীম আরও বলেন, “এ এক আজব দেশ, আজব সরকার। এখানে কোনো কিছুর দাম একবার বাড়লে আর কমে না।”
সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিতে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নেছার উদ্দীন, ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল মজুমদার প্রমুখ।