তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “স্বাধীনতাবিরোধীরা আন্তর্জাতিক চক্রকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই সময়েও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।”
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক গোষ্ঠী ও তাদের দোসর আলবদর, আলশামস রাজাকারেরা যখন বুঝতে পেরেছিল তাদের পরাজয় সন্নিকটে, তখন বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। শুধু ঢাকায় নয় সারা দেশে সব জেলায় ধরে ধরে নিয়ে গিয়ে কয়েক হাজার বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়েছে।”
মন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশি যে অপশক্তি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারা, যে আন্তর্জাতিক অপশক্তি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তাদের সঙ্গে মিলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র করছে। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা প্রবাহ এটিই প্রমাণ করে।”
বুদ্ধিজীবী হত্যাকারিদের বিচার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “অবশ্যই বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বিচারের জন্য আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর, বিচার হয়েছে এবং অনেক আসামি পলাতক রয়েছে তাদেরও ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সরকার চেষ্টা করছে। তবে যে আন্তর্জাতিক অপশক্তি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তাদের দ্বারা প্রভাবিত বঙ্গবন্ধুর খুনী, বুদ্ধিজীবীদের খুনী এবং তাদের সন্তানেরাও সেখানে লুকিয়ে আছে। সব জায়গা থেকে এখনো কাঙ্খিত সহযোগিতা পাওয়া যায়নি এবং সেসব জায়গায় বসে তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।”