• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

‘সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২২, ০৫:২৩ পিএম
‘সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত’

এবার ঘোষিত সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। শুক্রবার (১৮ মার্চ) এফডিসিতে “ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি স্বাধীনতা দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২২” এর গ্র্যান্ড ফাইনালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন,‘‘এবারের সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার উপযুক্ত ব্যক্তিকে দেয়া হয়নি। স্বাধীনতা পদক নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা জাতির জন্য অসম্মানজনক। কিভাবে এমন একজন ব্যক্তি পুরস্কার পেলেন, যা দুঃখজনক। মোঃ আমির হামজা নামক ব্যক্তিকে ঘোষিত সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।’’

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম, ড. মোহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরী ও সাংবাদিক পার্থ সঞ্জয়।

বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২২ সভাপতির বক্তব্য প্রদান করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। তিনি বলেন, আমি জানিনা এবারের স্বাধীনতা পদক প্রদান কমিটিতে কারা জুরি ছিলেন। এবারের স্বাধীনতা পদকের মতো রাষ্ট্রীয় মর্যাদার একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা একজন অচেনা ও অখ্যাত সাহিত্যিক কিভাবে পেলেন তা এখন সবার কাছে প্রশ্ন। আমির হামজা নামক উক্ত ব্যক্তির বই পড়েননি বা তার সম্পর্কে জানেন না বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন সহ প্রায় সকল বিশিষ্টজনরা। 

স্বাধীনতা পুরস্কারের নির্বাচন প্রক্রিয়া বদলানো উচিত বলেও মনে করেন হাসান আহমেদ। তিনি বলেন,‘‘ইতিপূর্বে ২০২০ সালেও রইজউদ্দিন নামক একজনকে সাহিত্যে স্বাধীনতার পুরস্কারের জন্য নাম ঘোষণা করা হলেও, পরবর্তিতে নানা সমালোচনায় রইজ উদ্দিনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়নি। রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রদানে এই ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা পরিহারের জন্য এর নির্বাচন প্রক্রিয়া বদলানো উচিত।’’ 

এরআগে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ‘সাহিত্যে’ মরহুম আমির হামজা রাষ্ট্রীয় এ সর্বোচ্চ পুরস্কারের মনোনয়ন লাভের খবর প্রকাশ হলে বিতর্ক ছড়িয়ে পরে। 

জানা যায়, আমির হামজার ছেলে সরকারের উপসচিব মো. আসাদুজ্জামান তার সাহিত্যিক বাবার নাম স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করেন। এতে সমর্থন দিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। প্রয়াত আমির হামজা মো. শাহাদাত হোসেন ফকির নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।

এদিকে স্বাধীনতার দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনালে ঢাকা সিটি কলেজকে পরাজিত করে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। চ্যাম্পিয়ন দলের বিতার্কিকদের নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং রানার আপ দলকে নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ ট্রফি, ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

Link copied!