বিএনপির সবকিছুতে না বলা গণতন্ত্রকে না বলার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি ক্রমাগতভাবে সবকিছুতেই না বলছে। অথচ আজকে যে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেভাবে সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এমনকি সমাজে বোদ্ধা হিসেবে পরিচিতদের সঙ্গে বসেছেন, এমন অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার উদাহরণ অনেক পুরনো গণতান্ত্রিক দেশেও কেউ দিতে পারবে না। এছাড়া বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবীরা এবং যারা বিএনপির পক্ষে সারাক্ষণ কথা বলেন তারাও সেখানে গেছেন এবং বলেছেন, বিএনপির আসলে নাম দেওয়া কথা ছিল, অথচ বিএনপি দিল না। সব কিছুকে বিএনপি না বলছে, এটি গণতন্ত্রকে না বলার শামিল।”
এ সময় অনুষ্ঠানে ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রথম ধাপের বরাদ্দে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের কল্যাণ অনুদান হিসেবে সারা দেশের ৩০৪ জন সাংবাদিকের জন্য ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বিতরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা জেলার ১২৪ জন সাংবাদিকদের মাঝে ২ কোটি ৯ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
পাশাপাশি এ দিন করোনা অনুদানের দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ হিসেবে সারা দেশের ৫৩০ জন সাংবাদিকের মাঝে ৫৩ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, “সাংবাদিকরা সমাজের আলোকবর্তিকার মতো কাজ করেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ গঠন সব ক্ষেত্রেই, সাংবাদিকরা অনেক ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু আজ যখন গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে তখন দেখা যাচ্ছে, অনেক ভুঁইফোড় সাংবাদিক ও ভুঁইফোড় গণমাধ্যমের জন্ম হয়েছে। এতে প্রকৃত সাংবাদিকদের বদনাম হচ্ছে।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “এটির অবসান হওয়া প্রয়োজন। সে জন্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের অনুরোধ, আমরা নীতিগতভাবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটা নীতিমালার ভিত্তিতে সাংবাদিকদের ডাটাবেজ করা দরকার। সেই কাজটি প্রেস কাউন্সিলকে করার জন্য আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। তারা যদি নীতিমালার ভিত্তিতে ডাটাবেজ তৈরি করে তাহলে প্রকৃত সাংবাদিকরা ডাটাবেজে স্থান পাবেন, আর যারা প্রকৃত নয়, ভুঁইফোড়, তারা ডাটাবেজে স্থান পাবেন না। তখন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে।”
এ সময় আরও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদলের সভাপতিত্বে প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কাশেম হুমায়ুন।