পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব এবং এর সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার উপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা যে সহসা উঠছে না, বাংলাদেশকে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (২৩ মার্চ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের ঢাকা সফরের সময় এমন আলোচনাই হয়েছে। ওনারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছেন যে, এটা একটা প্রক্রিয়া, এটা একটি জটিল প্রক্রিয়া। সুতরাং মুখে বললেই হবে না। তবে তারা এটা নিয়ে কাজ করবেন।”
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমদসহ বাহিনীর সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
সে সময় ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এমন পদক্ষেপ নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। পরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে একটি লবিস্ট সংস্থাকেও নিয়োগ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র পার্টনারশিপ ডায়ালগে যোগ দিতে আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড গত ১৯-২১ মার্চ ঢাকা সফরে এলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে র্যাবের ওপর ওই নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গও তোলা হয়।
আজ (বুধবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, “আগামী এপ্রিলে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলবেন।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গত ১০ ডিসেম্বরের পর মার্কিন প্রতিনিধি যার সঙ্গেই আলাপ হয়েছে, র্যাব ইস্যুটা এসেছে। আর সম্প্রতি মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি যিনি এসেছিলেন, তার সঙ্গে এটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। ওনার বক্তব্য আপনারা শুনেছেন। উনি বলেছেন যে, গত তিন মাস র্যাবের কারণে কারও মৃত্যু হয়নি, এসব… তারা খুশি।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা ওনাদের বলেছি, আমরা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি, যা যা নেওয়ার। আমি বলতে চাই, এই প্রতিকারের ব্যবস্থাগুলো আমাদের সিস্টেমে এমনিতেই ছিল। কিন্তু অনেক সময় সেগুলো ঠিকমতো কার্যকর হয়নি।”