রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপকে ‘তাৎপর্যহীন’ আখ্যা দিয়ে তাতে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির আমির চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম দলের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ২০ ডিসেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
জাতীয় পার্টিকে নিয়ে শুরু হওয়া সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোট ১৪ দলের কয়েক শরিক অংশ নিলেও বিএনপিসহ কয়েকটি দল তা বর্জন করছে।
চরমোনাইয়ের পীর সাংবাদিকদের বলেন, “রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে দেশের ‘চিন্তাশীল মহল, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে’ কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। বরং জনগণ মনে করছে, রাষ্ট্রপতির সংলাপে ফলপ্রসু কিছু হবে না। অতীতের দুইটি সংলাপ যেমন জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, চলমান সংলাপেও এর ব্যতিক্রম কিছু হবে বলে জনগণ মনে করে না। জনআঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে এমন একটি আবেদনহীন ও তাৎপর্যহীন সংলাপে অংশ নেওয়াটা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সঙ্গত মনে করে না।”
সংলাপের অংশ না নেওয়ার ঘোষণার পাশাপাশি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৭ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
এর মধ্যে আছে— নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নে সকল রাজনৈতিক দল ও সমাজের স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে কন্সটিটিউশনাল কাউন্সিল গঠন, নির্বাচনকালীন সময়ে অন্তর্বতীকালীন জাতীয় সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের অপসারণ পদ্ধতি উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের অনুরূপ করা, জনপ্রশাসন, আইন, স্বরাষ্ট্র ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত করা, নির্বাচন কমিশনের বাজেট প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান, যা সচিবালয় ও নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকবে।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুর ইসলাম ও প্রকৌশলী আশরাফুল আলম ।