• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

‘মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় ভোগ বেড়েছে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২২, ০৩:৫৩ পিএম
‘মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় ভোগ বেড়েছে’
ছবি: সংগৃহীত

মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ার কারণে ভোগ বেড়েছে, তাই বৃদ্ধি পেয়েছে ময়লা-আবর্জনা বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তাজুল ইসলাম বলেন, “আগে একটি ব্যাগে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হতো। এখন প্রতিটি উপকরণের সঙ্গে একটি ব্যাগ দেওয়া হয় যার ফলে বাসা-বাড়িতে ময়লা বেশি হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ময়লা-আবর্জনা একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনা চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।”

রোববার (১৩ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে ‘নিরাপদ পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, “ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ শুধু আমাদের দেশে নয় পৃথিবীর অন্য দেশেও রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করছে সরকার। খুব শিগগিরই ময়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।”

তাজুল ইসলাম বলেন, “রাজধানীর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি বাসাবাড়ি এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে। সুয়ারেজ লাইন কোনোভাবে সরাসরি লেক অথবা খালে দেওয়া যাবে না। ঢাকা শহরে আইন ও বিধিবিধান লঙ্ঘন করে অপরিকল্পিতভাবে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা শহরের ৯৯ শতাংশ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে নিয়ম অমান্য করে। রাজধানীর অধিকাংশ বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক নেই। আর এই সেপটিক ট্যাংক না থাকায় সুয়ারেজ লাইন খাল ও লেকে সরাসরি দিয়ে দেন। এতে করে খাল ও লেকের পানি দূষিত হয়, মাছসহ অন্যান্য প্রাণী বাঁচে না।”

এর আগে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন মন্ত্রী

পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সেপটিক ট্যাংক না রেখে কোনও বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, “নকশা অনুমোদন দেওয়ার আগে এসব বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) আরও সর্তক থাকতে হবে।”

এছাড়া মন্ত্রী বলেন, “রাজধানীকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বসবাসযোগ্য নগরী গড়তে উভয় সিটি করপোরেশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে অনেক দখল হওয়া খাল উদ্ধার করা হয়েছে। খালগুলো সংস্কার ও পুনঃখনন করে নৌ চলাচলের উপযোগী করার কাজ চলছে। গৃহীত কাজ সমাপ্ত হলে শহরের অনেক পরিবর্তন আসবে।”

এ সময় উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সেলডন ইয়েট।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!