• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

‘বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী জাগরণের অগ্রদূত’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২১, ১০:১০ এএম
‘বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী জাগরণের অগ্রদূত’

আজ বেগম রোকেয়া দিবস। দিনটি উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেগম রোকেয়া ছিলেন বাঙালি নারী শিক্ষার প্রসার ও নারী জাগরণের অগ্রদূত। তিনি ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন আধুনিক নারী। 

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে এ বাণীতে দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি উপলব্ধি করেছিলেন সমাজ তথা রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নের জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। তার এই উপলব্ধি ও আদর্শ আজও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়।”

শেখ হাসিনা আরও বলেন, “বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আমি বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। বেগম রোকেয়ার জীবনাচরণ নারী শিক্ষার প্রসারে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। যারা এ বছর ‘বেগম রোকেয়া পদক’ পেয়েছেন আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।”

নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পথিকৃৎ ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এবং সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া সম্ভব নয়। তাই তিনি নারীর সমান অধিকার, সমমর্যাদা, সাম্য ও স্বাধীনতার অপরিসীম গুরুত্ব অনুধাবন করে সংবিধানে নারীর ক্ষমতায়নের শক্ত ভিত রচনা করেছিলেন। জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষিত রাখার বিধান করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২ সালে চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের জন্য শতকরা ১০ ভাগ কোটা সংরক্ষণ করেন এবং ১৯৭৩ সালে তার গৃহীত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নারীর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেন।”

আওয়ামী লীগ সরকার নারীর মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি সর্বত্র নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীরা এখন নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বমহিমায় ও সক্ষমতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!