আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, “আলালের মামলা প্রত্যাহারের দাবি প্রমাণ করে, বিএনপি অশোভনীয়তাকে ইন্ধন ও প্রশ্রয় দেয়।”
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে ইনস্টিটিউশন অভ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস, বাংলাদেশ'র ৪২তম জাতীয় কাউন্সিল উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
এ সময় আইডিইবি সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম হামিদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি নেতা আলালের বিরুদ্ধে অশালীন এবং অশোভন বক্তব্য দেওয়ার কারণে যে মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানোর মাধ্যমে মির্জা ফখরুল সাহেব প্রমাণ করেছেন, তাদের দলের নেতারা যে অশোভন, অশালীন কথা বলছেন, এগুলো তাদের ইন্ধনেই বলছেন এবং সেগুলোকে তারা প্রশ্রয় দেন।”
এ সময় বিএনপি নেতা রিজভীর বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়া এবং তার স্বামী জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে যে নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছে, দেশের ইতিহাসের পাতায় যে কালিমা লেপন করেছেন সেগুলো কালো অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে। জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে খালেদা জিয়াও হত্যাকারীদের পুণর্বাসন করেছেন।”
বঙ্গবন্ধুর এক হত্যাকারীকে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর তারা বিরোধীদলীয় নেতাও বানিয়েছিলেন বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী আরো বলেন, “খালেদা জিয়ার সময়ে আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার পুত্রের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়। আমাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। তার নেতৃত্বেই দেশে অগ্নিসন্ত্রাস-অগ্নিবোমার রাজনীতি শুরু হয়। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করেছিলেন। ক্ষমতায় থাকাকালে হাজার হাজার সেনাবাহিনীর জওয়ান এবং অফিসারকে বিনা বিচারে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন, হত্যা করেছিলেন এবং লাখ লাখ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছিলেন, হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলেন।”
খালেদার এরকম নিষ্ঠুর আচরণ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তার প্রতি যে সহানুভূতি, মহানুভবতা দেখিয়েছেন, দেখিয়ে যাচ্ছেন সেটি বাংলাদেশে আগে কখনো ঘটেনি, বিএনপি’র এজন্য কৃতজ্ঞ হওয়া প্রয়োজন' উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, “বেগম জিয়া আদালতে দণ্ডিত আসামি। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করার প্রসঙ্গ আসবে। তিনি ক্ষমা চাইলে রাষ্ট্রপতি বিবেচনা করতে পারেন, নাও করতে পারেন।”
এ সময় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে হাছান মাহমুদ বলেন, “এ সংগঠনের গোড়াপত্তন হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। আজ সারা দেশে প্রায় ৫ লাখ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছেন। কোনো একটি বিল্ডিং বানানোর ক্ষেত্রে দেখা যায় বড় ইঞ্জিনিয়ার অফিসে বসে থাকে ড্রয়িং করে আর মাঠে কাজ করেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা। প্রধানমন্ত্রী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল কারণ তারা দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করছেন।”