জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৪ মার্চ) গণভবনে এমইটি প্রেস কর্তৃক প্রকাশিত ইনোভেশন্স (টেকনোলজি, গর্ভন্যান্স অ্যান্ড গ্লোবালাইজেশন) শীর্ষক জার্নালের ‘ভলিউম ১২, ইস্যু ১/২’ গ্রহণের পর এর সম্পাদক ফিলিপ আর্সওয়াল্ড এবং ইকবাল জেড কাদিরের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এ দেশের মানুষ উন্নত-সমৃদ্ধ জীবন পাবে, সুখে-শান্তিতে বাস করবে। কিন্তু আরাধ্য কাজ শেষ করার আগেই তিনি ঘাতকদের হাতে সপরিবার নিহত হন। তার সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার লক্ষ্য।”
এছাড়া কোনো কিছু বিনিময়ের আশা তিনি করেন না বলেও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের ৫০ বছর উপলক্ষে ‘ইনোভেশনস ভলিউম ১২, ১/২- ইস্যু’টি প্রকাশ করা হয়। এই সংখ্যাটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্ট্রাইভিং টু রিয়েলাইজ দ্য আইডিয়েলস অব মাই ফাদার’ শীর্ষক একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়া নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক কৌশিক বসু, সম্পাদক ইকবাল জেড কাদিরসহ ৭ জন বিশিষ্ট লেখকের লেখা প্রকাশিত হয়েছে। লেখাগুলোতে বিগত ৫০ বছরে, বিশেষ করে বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় অগযাত্রা সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।
মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর তার সরকার পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার ফলেই আজকের এই অর্জন।”
‘স্ট্রাইভিং টু রিয়েলাইজ দ্য আইডিয়েলস অব মাই ফাদার’ শীর্ষক লেখাটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতাসংগ্রামের পটভূমি, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা-পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, নির্বাসনের দিনগুলি, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং জনগণের কাছাকাছি যাওয়া, ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত তাঁর সরকারের কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরেছেন।
ইনোভেশন্সের সম্পাদকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং দেশে জলবায়ু মোকাবিলায় তাঁর সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রম তুলে ধরে একটি নিবন্ধ লেখার অনুরোধ জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিআরআইয়ের ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম।