দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস আজ (বুধবার)।
এদিন তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতির বিচারকক্ষে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) তাকে এই বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
তবে অবজ্ঞার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিএনপি সমর্থক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সংবর্ধনায় যাননি। তারা একই সময়ে আইনজীবী সমিতি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে।
তবে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাবেন আগামী ৩০ ডিসেম্বর। ওই সময়ে অবকাশকালীন ছুটি থাকায় বুধবার বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস বুধবার তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাচ্ছেন ৩১ ডিসেম্বর। তবে ১৯ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শুরু হচ্ছে। আর অবকাশে বসবেন না সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এছাড়া ১৬–১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি ছুটি। তাই প্রধান বিচারপতি হিসেবে আজ বুধবারই শেষ কর্মদিবস সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লায় জন্ম গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বাবা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোস্তফা আলী এবং মা বেগম কাওসার জাহান।
বিএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে দু’টি কোর্স সম্পন্ন করা বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি নিয়োগ পান অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে। দুই বছর পর ২০০৩ সালে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন।
পরবর্তীতে ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। আপিল বিভাগের বিচারপতির দায়িত্বপালনকে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন।
