• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫

প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২২, ০৩:৫১ পিএম
প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে চাল, ডাল, মসলা, আটা, মাছসহ বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। নগরীর বাজারগুলোতে গত সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া পণ্যে নতুন করে দাম বাড়তি দেখা গেছে। দাম বাড়ায় কেনাকাটায় স্বস্তি নেই বলে জানাচ্ছেন ক্রেতারা।

শুক্রবার (২৭ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের বাজারে প্রতি কেজি চালে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। প্রতি কেজি আটায় বেড়েছে ১০ টাকা। মাছের বাজারে প্রতি কেজি মাছে ৩০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি ডালে বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। মসলায় বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

নিত্যপণ্যের এমন ঊর্ধ্বগতির কারণ জানতে চাইলে কামাল ভ্যারাইটিজ স্টোরের ম্যানেজার আবু বকর সংবাদ প্রকাশকে জানান, নতুন ধানের দাম বেশি। নতুন ধান ও চাল শহরের বাজারে কম আসছে। কৃষকদের কাছ থেকে পাইকাররা কিনছেন। তারা সেই ধান মজুত করছেন। যখন দাম বাড়বে তখন হয়তো বিক্রি করবেন। সয়াবিন তেলের মতই ধানও মজুত করা হতে পারে। যদি বাজারে সঠিকভাবে সরবরাহ হয় তাহলে দাম বাড়বে না।

তিনি আরও জানান, মুদি আইটেমগুলো আমদানি কম তাই দাম বাড়বেই। এটা তো ইচ্ছে করে বাড়ানো সম্ভব না। যেমন দারুচিনি গত সপ্তাহে ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এ সপ্তাহে ৩৪০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। এলাচ ২০০ টাকা বেড়ে মানভেদে ১৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। হলুদগুঁড়া ১৫০ টাকা কেজি ঠিক আছে। জিরা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, মুদিদোকানের অন্যান্য পণ্যের দাম ঠিক রয়েছে।

কারওয়ান বাজারে নিয়মিত বাজার করেন বেসরকারি চাকরিজীবী নাহিদ। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “একের পর এক নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে। বৃদ্ধির পর কমছে না বরং যেগুলোর দাম কম আছে সেগুলোর দাম আবার বাড়ছে।”

নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি দেখে তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “শাকসবজির দোকানে মূল্য লেখা নেই—এটাই মূল সমস্যা। অনেক সময় দামাদামি করার সময় থাকে না।”

নিত্যপণ্যের মতো মাছের দামও বেড়েছে সপ্তাহের ব্যবধানে। গত সপ্তাহের তুলনায় সব মাছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে মাছের দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জিওল মাছ ছোট ২৫০ টাকা, বড় ৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ছোট ১২০ টাকা, বড় ২০০ টাকা, চিংড়ি নদীর ১ হাজার ৩০০ টাকা, খুলনা ঘেরের ৭০০ টাকা, শোল বড় ৬০০ টাকা, ছোট ৪০০ টাকা, বোয়াল বড় ৮৫০ টাকা, ছোট ৫০০ টাকা, পুঁটি মাছ বড় ৩০০ টাকা, ছোট ১২০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাকা, মৃগেল বড় ২০০ টাকা, ছোট ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

শাকসবজির বাজারে পেঁয়াজ ৪০ টাকা, সজনে ৮০ টাকা, গাজর দেশি ৭০ টাকা, চায়না গাজর ১৪০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা, চায়না রসুন ১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০ টাকা কমে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, আদা দেশি ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা, চায়না রসুন ১৪০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩২০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, বরবটি, খিরা ও ঝিঙে ৪০ টাকা, মুলা ও ঢেঁড়স ৩০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, আলু ১৮ থেকে ২০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

মাংসের বাজারে দামের তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে গরুর মাংস ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০, ছাগলের মাংস ৯০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, সোনালি ২৭০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, পাতিহাঁস ৩৩০ টাকা, রাজহাঁস ও চিনা হাঁস ৪৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৭০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

Link copied!