বিদেশে চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে গিয়ে ফের আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি একথা বলেন।
এ সময় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়ার আগে এখন তদন্তের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেলে যাচ্ছে। যদি অভিযোগ মামলা করার মতো হয়, তাহলে মামলা কোর্টে যাবে। এর আগে যেন কোনো সাংবাদিককে মামলায় জড়ানো না হয়। এখন কিন্তু কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আগে যাচাই-বাছাই হয়।”
আইনমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এ-ও জানি, এর অপব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয়, সে জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।”
সাংবাদিকদের পেশাদারত্ব নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়া আপনাদের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করে ফেলেছে। এখন কিন্তু সবাই সাংবাদিক হয়ে গেছে। এই যে সবার সাংবাদিক হয়ে যাওয়া, আপনারা কিন্তু লেখাপড়া করে এই পেশায় এসেছেন। একজন সাংবাদিক হতে হলে তার যে মানসিকতা প্রয়োজন, তার যে কাজের প্রয়োজন, সে নিজেকে কীভাবে প্লেস করবে, এসব কিন্তু জেনে বুঝেই আপনারা এ পেশায় এসেছেন। কিন্তু অপেশাদারদের এসব চিন্তাভাবনা নেই।”
এ সময় প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে আনিসুল হক বলেন, “দুইটা জিনিস মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাউকে জিজ্ঞাসা করতে হয় না। এটা তার সর্বময় ক্ষমতা। একটা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা, আরেকটা হচ্ছে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা। মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিশ্চয়ই তার সুবিবেচনায় তাকে যিনি যোগ্য মনে করবেন এবং সংবিধানের পরিধির মধ্যে তার যে ক্ষমতা, সেটা ব্যবহার করবেন।”
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, “এটার ব্যাপারে আমি যেটুকু বুঝি সরকার এই চিন্তাভাবনার মধ্যেই নেই। তো সে জন্য কোনটাকে প্রাধান্য দিচ্ছি, কোনটাকে প্রাধান্য দিচ্ছি না, সেই প্রশ্নের উত্তরের প্রয়োজনও নেই।”