চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আদালত।
রোববার (৬ মার্চ) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে এ আদেশ দেন। আগামী ৪ এপ্রিল আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানির দিনও ধার্য করেছেন আদালত।
আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। অপর প্রার্থী নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।
৩ মার্চ জায়েদ খানের পক্ষে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সিএমপি (বিবিধ দেওয়ানি দরখাস্ত) করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। হাইকোর্টের লিখিত রায় প্রকাশ না হওয়ায় তিনি বিবিধ দেওয়ানি আপিল (সিএমপি) করেন।
এর আগে গত ২ মার্চ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ওইদিন বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলটি নিষ্পত্তি করে রায় দেন।
গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এর প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। পরে একই পদে আরেক প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করে নির্বাচনী আপিল বোর্ড। বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান জায়েদ খান।