আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “জনগণ বিএনপির ডাকে সাড়া দেবে না। কারণ যারা গণবিরোধী রাজনীতি করে, জনগণ তাদের পাশে থাকে না।”
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিগত দিনগুলোতে বিএনপি আন্দোলনের যে হুমকি দিয়েছিল। বর্তমানে সেটার ধারাবাহিতা ছাড়া কিছু নয়। খন্দকার মোশারফ সাহেবসহ বিএনপি নেতারা এমন বহু ঈদের পরে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবেন এটা অন্তত ১২ বছর ধরে বলে আসছেন।”
মন্ত্রী বলেন, “আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার এক বছর পর থেকেই এই ঈদের পরে, এই শীতের পরে, এই বর্ষার পরে, পরীক্ষার পরে-এরকম বহু হুমকি শুনে আসছি। খালি কলসি যে বেশি বাজে, তাদের এই হুমকিগুলোও ঠিক সেরকম ছিল। খন্দকার মোশারফ সাহেবও যে বক্তব্য রেখেছেন, আগামী ঈদের পরে জাতীয় ঐক্য করে, সরকারের পতন ঘটাবেন সেগুলো আগের বক্তব্যের ধারাবাহিকতা ছাড়া অন্য কিছু নয়। মানুষ তাদের এই হুমকি শুনে হাস্যরস করে।”
সরকারবিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, “২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তারা ডান-বাম, অতি বাম, সবার সন্নিবেশ ঘটিয়ে একটা জাতীয় ঐক্যের মতো করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই ঐক্য করে কোনো লাভ হয়নি। সেটি একেবারে ফানুসের মতো নিভে গেছে। কারণ উন্নয়নের ফলে দেশের মানুষ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে আছে। জনগণ তাদের (বিএনপি) ডাকে কখনও সাড়া দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না।”
এ সময় বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে একধাপ এগিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “আন্তর্জাতিক পরিমাপে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে। আমি মনে করি, দেশ গণতন্ত্র সূচকে আরও অনেক ধাপ এগিয়ে যেতে পারতো। কারণ গণতন্ত্র সংহত করা শুধুমাত্র সরকারি দলের কাজ নয়, যারা বিরোধীদলের রাজনীতি করেন, সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন, সরকারবিরোধী রাজনীতি করেন, তাদেরও দায়িত্ব এসব নিয়ে কথা বলার।”
ড. হাছান আরও বলেন, “বিএনপি যদি গণবিরোধী রাজনীতি না করতো, মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়া জ্বালাও-পোড়াও না করতো, হরতাল অবরোধের মাধ্যমে জনগণকে অবরুদ্ধ করার রাজনীতি না করতো, গণতন্ত্র সূচকে আমরা আরও বহু ধাপ এগিয়ে যেতাম।”