• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চুকনগর গণহত্যা দিবস: বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম গণহত্যা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২০, ২০২২, ০১:৪৩ পিএম
চুকনগর গণহত্যা দিবস: বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম গণহত্যা

২০ মে, ⁠⁠⁠⁠⁠⁠⁠শুক্রবার খুলনার চুকনগর গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে পাকিস্তানি বাহিনীর দোসররা বাঙালিদের ওপর গণহত্যা চালায়। যা ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহত্তম গণহত্যা। ওই দিন প্রায় ১০ হাজারের মতো মানুষ নিহত হন। তবে এর সঠিক সংখ্যা আজও জানা যায়নি।

চুকনগর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় বধ্যভূমিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই সময় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনসহ বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়েছে। এছাড়াও ভদ্রা নদীতে ফুলের পাপড়ি ভাসানো ও আলোচনা সভাসহ লাইট শো ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃিতক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

একাত্তরের ওই দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। সকাল প্রায় ১১টা। চুকনগর শহরটি ভারতীয় সীমান্তের কাছে অবস্থিত। যুদ্ধ শুরু হওয়ায় ওই সময়  খুলনা ও বাগেরহাট থেকে প্রচুর মানুষ ভদ্রা নদী পার হয়ে চুকনগরে পালিয়ে যান। এই দিন তিনটি ট্রাকে করে পাকিস্তানি সেনারা চুকনগর বাজারের ঝাউতলায় (তৎকালীন পাতখোলা) আসে। তাদের সঙ্গে ছিল হালকা মেশিন গান ও সেমি-অটোমেটিক রাইফেল। দুপুর ৩টা পর্যন্ত তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে। হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচতে অনেকে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। পানিতে ডুবেও মৃত্যু হয় অনেকের। 

চারিদিকে শুধু কান্নার শব্দ, হুড়োহুড়ি আর দৌড়াদৌড়ি। চুকনগর সেদিন মৃত নগরীতে পরিণত হয়। চুকনগরের সবুজ মাঠ সেদিন মুহূর্তেই  লাল হয়ে যায়। চারিদিকে শুধু লাশের সারি। সেদিন চুকনগর শহর, মন্দিরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঢুকে নিরীহ মানুষকে অকাতরে গুলি করে হত্যা করে হানাদারেরা। চুকনগরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ভদ্রা নদীতে ছিল লাশের বহর ও তাজা রক্তের স্রোত। চিৎকার আর আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠে চুকনগরের আকাশ-বাতাস। 

ইতিহাসের নিকৃষ্টতম চুকনগরে সেই স্মৃতিকে স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। স্মৃতিস্তম্ভটির নাম চুকনগর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ।মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনারা যে নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তারই নিশ্চুপ সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে এই স্মৃতিস্তম্ভ।

Link copied!