লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে এবার মানব পাচারের একটি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুয়েতের একটি আদালত।
এর আগে কুয়েতের বহুল আলোচিত অর্থ ও ঘুষের মামলায় তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একটি হাই প্রোফাইল মানব পাচার মামলায় সাবেক এই বাংলাদেশি সংসদ সদস্যক সাত বছরের কারাদণ্ড। একই সঙ্গে ২৭ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা প্রদানের আদেশ দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ আপিল আদালত।
পাপুল ছাড়াও কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডারসেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জাররাহ, জনশক্তি পরিচালক হাসান আল খিদরকেও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া কুয়েতের ওই সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষের মামলায় নিজ নিজ পদ থেকে বহিষ্কারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুয়েতের সাবেক সংসদ সদস্য সালাহ খুরশিদকেও সাত বছরের কারাদণ্ডসহ প্রায় সাড়ে সাত লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ জুন কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ পাপলুকে গ্রেপ্তার করে।
ওই সময় গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েতের সরকারি কৌঁসুলিরা তিনটি অভিযোগ তুলেছেন।
অভিযোগগুলো হলো মানব পাচার, অবৈধ মুদ্রা পাচার এবং স্বদেশি কর্মীদের কাছে রেসিডেন্ট পারমিট বিক্রি।
পাঁচ বাংলাদেশি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পর পাপুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বাংলাদেশিরা তখন জানান, পাপুল তাদের কুয়েতে পাঠানোর জন্য প্রত্যেকের কাছে সোয়া আট লাখেরও বেশি করে টাকা নিয়েছেন। এছাড়া রেসিডেন্সি ভিসা নবায়নের জন্য প্রতিবছর পাপুলকে নতুন করে অর্থ প্রদান করতে হতো তাদের।
পাপুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, কুয়েতে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ হিসেবে পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি সরবরাহ করেছিলেন তিনি। যাতে তিনি সেখানে যে সংস্থাটি চালাচ্ছিলেন, তার চুক্তি পেতে পারেন।