পাঁচ দিনের সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর।
বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং ২১ সদস্যের একটি চৌকস দল তাকে স্যাটিক গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ৮ মার্চ দুবাই এক্সিবিশন সেন্টার (ডিইসি) পরিদর্শন করবেন এবং আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে একটি শীর্ষ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় যোগ দেবেন। পরে তিনি ডিইসিতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন এবং ইউএই প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করবেন।
সফর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডিইসিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
৯ মার্চ শেখ হাসিনা আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাদার অব নেশন শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারকের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সন্ধ্যায় তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফরের দেওয়া অভ্যর্থনায় নৈশভোজে যোগ দেবেন।
এছাড়া ১০ মার্চ সকালে প্রধানমন্ত্রী এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসংক্রান্ত এফএও আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং সন্ধ্যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের উদ্যোগে যৌথভাবে আয়োজিত বিজনেস ফোরামে যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা সফরের শেষ দিনে ১১ মার্চ প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে একটি নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। এছাড়া তিনি রাস আল খাইমায় বাংলাদেশ ইংলিশ প্রাইভেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র : বাসস