আঞ্চলিক পর্যায়ে আইপি টিভি এবং কোনো ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ প্রচার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “দেশে সাড়ে আট থেকে নয় কোটির কাছাকাছি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, এ সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রচারের একটি বড় ক্ষেত্র এবং অপপ্রচার, গুজব রটানোরও একটি বড় ক্ষেত্র। আমরা যদি গত ৭-৮ বছরের পরিসংখ্যানে দেখতে পাই, আমাদের দেশে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যে সমস্ত গুজব রটানো হয়েছে, অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, স্থানীয়ভাবে বিশৃঙ্খলা থেকে সারা দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টা হয়েছে, প্রায় সবগুলোই এই মাধ্যমে করা হয়েছে। ডিসিদের কাছে আমরা সে বিষয় তুলে ধরেছি, তারা যেন এ ব্যাপারে সবসময় তৎপর থাকেন এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।”
মন্ত্রী আরো বলেন, “ডেপুটি কমিশনারবৃন্দ গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার ক্লিনফিড বাস্তবায়নে যেভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। এখনও এ ব্যাপারে তাদেরকে নজর রাখতে বলেছি। কেবল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করে তারা যাতে কোনক্রমেই স্থানীয়ভাবে টেলিভিশন চ্যানেল হিসেবে কোনো অনুষ্ঠান কিংবা বিজ্ঞাপন প্রচার না করে সেটি এবং পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রেও আইনের বিধিবিধান অনুসরণ নিশ্চিত করতে বলেছি।”
এদিন দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন এটকো নেতৃবৃন্দ তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। এসোসিয়েশন অভ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী এ সময় মন্ত্রীকে একটি স্মারকপত্র দেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী এটকোর দাবির প্রেক্ষিতে বলেন, “সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী কোনো আইপি টিভি সংবাদ প্রচার করতে পারে না। এছাড়া ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে এগুলো সম্প্রচার নীতিমালার পরিপন্থি। আপনাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। একইসঙ্গে যে সমস্ত সংবাদপত্র ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করছে তাদের সেটার কোনো অনুমতি নেই। অনুমোদনহীন কিছু করা বেআইনী। আমরা সে ব্যাপারেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
এটকো পরিচালকদের মধ্যে এটিএন চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, বাংলাভিশনের আব্দুল হক, দীপ্ত টিভি’র কাজী জাহিদুল হাসান, সময় টিভি’র আহমেদ যোবায়ের, ডিবিসি নিউজের এম মঞ্জুরুল ইসলাম, নাগরিক টিভি’র নাভিদুল হক এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মিজান-উল-আলম এবং খাদিজা বেগম প্রমুখ সভায় অংশ নেয়।