বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইনজীবীরা যে আবেদন জানিয়েছেন, এ বিষয়ে অচিরেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে নিজ আবাসিক কার্যালয়ে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, “ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় যে দরখাস্ত একবার নিষ্পত্তিকৃত হয়, সেই দরখাস্তকে আবার পুনরুজ্জীবিত করার কোনো সুযোগ নেই। তার এই আইনি ব্যাখ্যাই সঠিক।বিএনপির ১৫ জন আইনজীবী দেখা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনো তা শেষ হয়নি, প্রায় শেষ প্রান্তে। কিছুদিনের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
আবরার হত্যার প্রকৃত ও ন্যায়বিচার করা হয়েছে বলে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “এ রায়ের জন্য প্রসিকিউশন টিম ও বিচার বিভাগের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। বিজ্ঞ আদালতের এ রায় প্রমাণ করেছে, আমাদের দেশে আইনের শাসন রয়েছে। এমন হত্যাকাণ্ড বা অপরাধ করে কেউ নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াতে পারবে না। রাজনীতি করতে পারবে না।”
মন্ত্রী বলেন, “যেহেতু এটা ডেথ রেফারেন্স, এর নথিপত্রকে বলে পেপার বুক। আমরা তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করে দেব। যেন পেপার বুক তৈরির জন্য হাইকোর্টে কোনো বিলম্ব না হয়। কিছু কিছু মামলা আছে, যেগুলো সমাজের বিবেককে নাড়িয়ে দেয়। সরকারের দায়িত্ব এসব মামলা দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে সমাজকে আশ্বস্ত করা। সেই দায়িত্ব পালনে শেখ হাসিনার সরকার এখন পর্যন্ত সফল।”
এ সময় আনিসুল হক বলেন, এই মামলায় ২৫ আসামির মধ্যে ৩ জন শুরু থেকেই পলাতক। বাকি ২২ জন আদালতে উপস্থিত ছিল। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় সন্দেহাতীতভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মামলাটির রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সদ্য পদত্যাগকারী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “তার কর্মকাণ্ডে আমি গভীরভাবে ক্ষুব্ধ। শুধু সংসদ সদস্যই নয়, কোনো বিবেকবান মানুষ এটা করতে পারে না।”