• ঢাকা
  • শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মুহররম ১৪৪৬

সমাবেশ থেকে যে বার্তা দিতে চায় জামায়াত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ১০:০৭ এএম
সমাবেশ থেকে যে বার্তা দিতে চায় জামায়াত
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ঢল

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে জামায়াত। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ করা যাচ্ছে।

জামায়াত এই সমাবেশকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ এবং ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঐতিহাসিক মহড়া’ হিসেবে দেখছে। সাত দফা দাবির মাধ্যমে দলটি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাচ্ছে। এই দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হলো:

যে বার্তা দিতে চায় জামায়াত

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা: আসন্ন নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ ও পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক, যাতে কোনো দল বিশেষ সুবিধা না পায়। এটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে তারা দেখছে।

‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার: ‘জুলাই গণহত্যার’ সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেওয়া হয়নি, তবে এই দাবির মাধ্যমে দলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিচার চেয়েছে, যা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার একটি সংবেদনশীল অংশ। এটি অতীতের কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার: দেশের শাসনব্যবস্থা, আইন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মৌলিক সংস্কার আনার দাবি জানিয়েছে দলটি। এর মাধ্যমে তারা একটি জবাবদিহিমূলক এবং জনমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

সংখ্যানুপাতিক হারে (পিআর পদ্ধতি) সংসদ নির্বাচন: জামায়াত মনে করে, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি অনুযায়ী নির্বাচন হলে একটি ‘কোয়ালিটি পার্লামেন্ট’ গঠন করা সম্ভব হবে। তারা এই পদ্ধতির নির্বাচনকে বাংলাদেশের জন্য ‘সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত’ বলে দাবি করছে। তাদের যুক্তি হলো, এই পদ্ধতি ছোট দলগুলোকেও সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেবে এবং ভোট আয়োজনের পেছনে রাষ্ট্রের অপচয় কমাবে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিও জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের একটি পূর্বাভাসও পাওয়া যাবে বলে তারা মনে করে।

দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতা: জামায়াত সমাবেশ থেকে দেশের দায়িত্বরত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরার কথা বলেছে। এটি সরকারের কার্যকারিতা এবং জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তোলার একটি কৌশল হতে পারে।

দলটির নেতারা আশা করছেন, সারা দেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ নেতা-কর্মী এই সমাবেশে অংশ নেবেন। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ব্যবস্থাপনা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, যার জন্য তারা বিস্তারিত পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!