লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনো দেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পাসের আবেদন করেননি। তবে তিনি আবেদন করলেই এক ঘণ্টার মধ্যে ট্রাভেল পাস জারি করা সম্ভব বলে নিশ্চিত করেছে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারেক রহমানের ট্রাভেল পাস এখন শুধুই স্বাক্ষর ও সিলের বিষয়।
হাইকমিশন সূত্র জানায়, ট্রাভেল পাস নিতে তারেক রহমানকে সরাসরি হাইকমিশনে যেতে হবে না। একটি নির্ধারিত ফরম পূরণ করে আবেদন পাঠালেই হবে। সঙ্গে একটি ছবি এবং পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি বা বাংলাদেশি নাগরিকত্ব সনদের কপি সংযুক্ত করতে হবে।
এ বিষয়ে সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে, যে কোনো সাধারণ বাংলাদেশির মতো তারেক রহমানের ক্ষেত্রেও দ্রুততম সময়ে ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, তারেক রহমান চাইলে এক দিনের মধ্যে ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হবে।
অন্যদিকে, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য লন্ডন থেকে দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে আসছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে দেখার পর প্রয়োজন অনুযায়ী বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
তাহলেও বর্তমান সময়ে খালেদা জিয়ার দেশের বাইরে নেওয়ার সুযোগ নেই। তারেক রহমান এখনও দেশে ফেরেননি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে ফিরবেন।
তারেক রহমানের নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে উল্লেখ রয়েছে, সংকটকালে মায়ের স্নেহ-স্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা তারও রয়েছে, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ তার একক নিয়ন্ত্রণে নয়। তিনি দেশের মানুষের সমর্থন ও প্রার্থনায় শক্তি পাচ্ছেন এবং খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্যের জন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
২০০৮ সালে কারামুক্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তারেক রহমান লন্ডনে যান। গত ১৭ বছর ধরে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।































