• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রিজার্ভের টাকা উধাও হয়ে যায়নি : প্রধানমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২২, ১১:২৪ এএম
রিজার্ভের টাকা উধাও হয়ে যায়নি : প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি

পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কাজের উদ্বোধন করেন।

ভবিষ্যতে ঢাকা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিদেশি অর্থায়নে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়, সে জন্য আমাদের নিজের টাকা দিয়ে একটা ফান্ড তৈরি করেছি, যার নাম বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর ডেভেলপমেন্ট অর্থাৎ বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল। আমরা এই ফান্ড থেকেই কাজ শুরু করেছি।”

রিজার্ভ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কল্যাণে রিজার্ভের টাকা খরচ করা হচ্ছে, উধাও হয়ে যায়নি।

পায়রা বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো মধ্যে রয়েছে বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং, আটটি জাহাজের উদ্বোধন, প্রথম টার্মিনাল এবং ছয় লেনের সংযোগ সড়ক ও একটি সেতু নির্মাণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি করেছি। বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড এটা দিয়ে পায়রা বন্দরের কাজটা আমরা শুরু করলাম। ভবিষ্যতে আমরা অবকাঠামো উন্নয়নে এই ফান্ড কাজে লাগাতে পারব। জাতির পিতা বলেছিলেন, আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। ঠিকই আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারে নাই।

সমুদ্রবন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয় ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০-১২৫ মিটার-চওড়া এবং ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীর চ্যানেল তৈরি হবে, যা বন্দরে ৪০ হাজার টন কার্গো বা ৩ হাজারটি কনটেইনার বোঝাই জাহাজ ডক করার সক্ষমতা রাখে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং চ্যানেলে আনুমানিক ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল ড্রেজিংয়ের কাজ করবে।

২০৯ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জাহাজ ও নৌযানগুলো বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিদেশি জাহাজের আগমন-গমন পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি চ্যানেল রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করবে। 

এ ছাড়া প্রথম টার্মিনাল, ছয় লেনের মহাসড়ক ও সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে সমুদ্রবন্দরে তিনটি বিদেশি জাহাজ একযোগে কনটেইনার বা বাল্ক কার্গো ডক করতে পারবে। ৪ হাজার ৫১৬ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে তা চালু করা হবে।

বন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য আন্ধারমানিক নদের ওপর ৭৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে ১ হাজার ১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতু। সেতুটি ৩০ মাসে নির্মিত হবে।

Link copied!