• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বেড়েছে পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগির দাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২২, ১১:৩২ এএম
বেড়েছে পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগির দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপণ্যের বাজারে সবজির সঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগির দাম। কেজিপ্রতি সব পণ্য দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ টাকার পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। সব ধরনের সবজিতে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। শীতকালীন শিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ২০০ গ্রামের প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। পাতা কপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়সের কেজি ৬০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, পটোল ৭০ টাকা, টমেটো ১৩০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৬০ টাকা আর গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে হঠাৎ করে বাজারে আবার ঊর্ধ্বমুখী ব্রয়লার ও পাকিস্তান কক মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা, আর কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা।

মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকায়। শিং মাছের কেজি ৩৫০-৪৬০ টাকা। আর ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কৈ মাছের কেজি। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৫০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।

রামপুরা বাজার করতে আসেন বেসরকারি চাকরিজীবী আমিনুল ইসলাম। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “দিন দিন বাড়ছে নিত্যপেণ্যের দাম। সকালে একদাম বিকেলে একদাম। আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা দোকানিদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। সংসার চালানোর উপায় নাই।”

নিত্যপণ্যের বাজারের ঊর্ধ্বমুখী নিয়ে হতাশার সুরে সোহেল হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “যুদ্ধ আর জ্বালানি তেলের অজুহাতে প্রতিদিন দাম বাড়াচ্ছে বিক্রিতারে। যেভাবে দাম বাড়ছে কয়দিন পর আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। কোনোভাবে বাজারের দামের সঙ্গে হিসাব মেলানো যাচ্ছে না।”

রামপুরা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী ইব্রাহিম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য মুরগির দাম বাড়ে। এখনো তাই হচ্ছে। ব্রয়লারের দাম কমলে অন্যান্য মুরগির দাম এমনিতেই কমে যাবে।”

বাজারে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে মুরগি ব্যবসায়ী সালামত আলী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “কোরবানির সময়ে মুরগির দাম কমে যায়, এটাই স্বাভাবিক। এখন কোরবানির চলে গেছে অনেক আগে। মানুষের মুরগির মাংসের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু হঠাৎ করে  অস্বাভাবিকভাবেই বেড়ে গেছে মুরগির দাম।”

Link copied!