• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দেশ গণতন্ত্র সূচকে একধাপ এগিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩, ০৭:০৩ পিএম
দেশ গণতন্ত্র সূচকে একধাপ এগিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

গণতন্ত্রচর্চার সূচকে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা ‘ফ্রিডম হাউজ’ প্রকাশিত বিশ্ব গণতন্ত্রচর্চা সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি এ কথা জানান।

ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম হাউজের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “বিএনপির অব্যাহত চেঁচামেচি যে, দেশে গণতন্ত্র নেই, কথা বলার অধিকার নেই। এসবের মধ্যেও ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা যখন প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে, বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় এবার একধাপ এগিয়েছে, তার মানে বাংলাদেশে গণতন্ত্রচর্চা অব্যাহত আছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতি হয়েছে।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় সকাল-বিকেল-সন্ধ্যা কথা বলেন। সরকারের বিরুদ্ধে নানান ধরনের অহেতুক সমালোচনা করেন। তারা বলেন, ‘আমাদের কথা বলার অধিকার নেই।’ এটি যে মিথ্যা, তা ফ্রিডম হাউজের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে গণতন্ত্রচর্চা অব্যাহতভাবে সুসঙ্গত রয়েছে। এটি আরও হতো, যদি বিএনপি সঠিকভাবে গণতন্ত্র চর্চা করতো।”

বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নেই মন্তব্য করে ড. হাছান বলেন, “তাদের সর্বশেষ সম্মেলন কখন হয়েছে, সেটা তারা নিজেরাও বলতে পারেন না। এক কলমের খোঁচায় বিএনপিতে নেতা হয়, আবার কলমের খোঁচায় বাদ যায়। তারা যদি গণতন্ত্র চর্চা করতেন, দেশে সার্বিকভাবে গণতন্ত্রচর্চায় আরও সহায়ক ভূমিকা রাখতেন, তাহলে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও অনেক ধাপ এগিয়ে থাকতো।”

বিএনপি মহাসচিবের ‘সরকারের রশি ধরে টান দেওয়ার সময় এসেছে’ এমন বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তারা তো রশি ধরে টান দিয়েছিলেন ১০ ডিসেম্বর। সরকারকে রশি ধরে টান দিতে গিয়ে সেই রশি ছিঁড়ে পড়ে গিয়ে তাদেরই কোমরটা ভেঙে গেছে। এখন আবার টান দিতে গেলে তাদের কোমর আরও ভেঙে যাবে।”

ড. ইউনূসকে নিয়ে ‘বিশ্বনেতাদের বিবৃতি’র খবর প্রসঙ্গে করা আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এটিকে বিবৃতি বলা যাবে না। এটি একটি বিজ্ঞাপন। ওয়াশিংটন পোস্টে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে ৪০ জনের নামে একটি বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। বিজ্ঞাপন আর বিবৃতির মধ্যে পার্থক্য আছে।”

মন্ত্রী আরও বলেন, “ড. ইউনূস বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিক। তার প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, এভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি বাংলাদেশে দেখিনি। বিশ্ব অঙ্গনেও এরকম হয় কি না, জানি না। এরকম বিবৃতি কেনা বা বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি, সেটাকে আবার কোটি টাকা খরচ করে প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। যেভাবেই হোক ইউনূস সাহেব নোবেলজয়ী। তার পক্ষে এরকম একটা বিবৃতি বিজ্ঞাপন দিয়ে ছাপানো, এটি তার ব্যক্তিত্বকেই খর্ব করেছে। আমার প্রশ্ন- তার এত টাকা কোথা থেকে আসে?”

Link copied!