• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খালেদা জিয়া কখন রাজনীতি করবেন, জানালেন ফখরুল


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩, ০৩:১২ পিএম
খালেদা জিয়া কখন রাজনীতি করবেন, জানালেন ফখরুল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সময় এলে রাজনীতি করবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আমরা এখন সংগ্রামে আছি, আন্দোলনে আছি। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি অনেক অসুস্থ। তাকে নিয়ে সরকার বিভিন্নভাবে নাটক শুরু করেছে। তাদের (সরকার) মন্ত্রীর একদল বলেন, ‘খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন না।’ আরেকদল বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) রাজনীতি করতে বাধা নেই।’ হঠাৎ করে আপনাদের (সরকার) এত দরদ উতলে উঠল কেন? আপনারা খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার ব্যাপারে একেবারে পাগল হয়ে গেলেন। আপনাদের উদ্দেশ্য একেবারেই ভালো না।”

খালেদা জিয়ার রাজনীতির প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “খালেদা জিয়ার যখন রাজনীতি করার সময় আসবে, উনি রাজনীতি করবেন। তিনি কারগারে থাকুক আর যেখানেই থাকুক, তিনি অবশ্যই রাজনীতি করবেন। কারণ খালেদা জিয়া এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী এবং গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় মাতা। আপনাদের (সরকার) এই সমস্ত কথা বলার কোনো প্রয়োজন নেই। তার সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন, দল নেবে।”

সরকার দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায় মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, “তারা দেশের মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চায়। আমাদের (বিএনপি) দৃষ্টি এখন একটাই, আমরা আমাদের অধিকার ফেরত চাই। আমাদের ভোটের অধিকার ফেরত চাই। এই সরকারকে আমরা আর দেখতে চাই না, সরকারকে এই মুহূর্তেই পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। জনগণকে বিভ্রান্ত করে আর ভিন্ন পথে পাঠানো যাবে না।”

তিনি বলেন, “আমাদের সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, শ্রমিক, কৃষক, দিনমজুর, তাঁতী, কুমার তারা খুব কষ্টে আছে। চাল, ডাল, তেল, লবনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম বেড়েছে। শরহগুলোতে বাড়ি ভাড়া বাড়ায় সবাই গ্রামে চলে যাচ্ছে। দৈনন্দিন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে পাঠানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন বক্তৃতায় বলেন, ‘এত উন্নয়ন দিচ্ছি, তারপরও তারা (জনগণ) চিৎকার করে কেন?’ আরে উন্নয়ন করছেন আপনাদের (সরকার) নিজেদের। উন্নয়ন করছেন আপনাদের (সরকার) যারা আত্মীয়, স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, দলের মানুষ, আপনাদের আশ্রয়ে থাকাদের। তারা ইতোমধ্যে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। আর সাধারণ মানুষ না খেতে পেয়ে, কর্মসংস্থান না পেয়ে বেকার হয়ে গেছে। তাদের জীবন চলছে না।”

তিনি আরও বলেন, “সংবিধানে নেই, তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা যাবে না। আর তোমরা (আওয়ামী লীগ) যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে ১৭৩ তিন হরতাল করেছিলে, তখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে ছিল না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যখন দেখেছেন, জনগণ এটা চায়, এটা করলে রাজনৈতিক সমস্যা-সংকটের সমাধান হবে। তখন তিনি জাতীয় সংসদে বিশেষ অধিবেশন বসিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করে সংবিধানে সংযুক্ত করেছিলেন। বিএনপি তো সেদিন অন্য কোনো সুযোগ নিয়ে নিজের মতো করে নির্বাচন করতে চায়নি।”

জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাজী মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বগুড়া-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক, সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!