• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মহান ভাষা দিবসেও ‘দলবাজি’ করার অভিযোগ বিএনপির


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ০২:৫০ পিএম
মহান ভাষা দিবসেও ‘দলবাজি’ করার অভিযোগ বিএনপির

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসেও ‘দলবাজি’ করার অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন। তিনি বলেছেন, “সকাল সাড়ে ৭টায় আমরা বলাকা সিনেমা হল থেকে প্রভাতফেরি শুরু করেছি। সলিমউল্লাহ মুসলিম হলের সামনে সকাল ৮টায় এসে দাঁড়িয়েছি, সেখান থেকে শহীদ মিনারে আসতে পৌনে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এ সময়ের মধ্যে কোনো একটা দলের নেতাকর্মীরা বেদি ত্যাগ করে নাই, যাতে আমরা এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে না পারি।”

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ভাষাশহীদদের স্মরণ করে খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, “মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আমাদের ওপর জোর করে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই সময় ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং যে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদ করেছিল, তাদের সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষা পেয়েছি। সেই ভাষা আন্দোলন ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন। তখন ভাষা আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও চেতনায় ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।”

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ রায় দিয়েছে যে, তারা গণতন্ত্র ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করেছে। তারা এ দেশকে মেরামত করতে পারবে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আজ জনজীবন বিপন্ন। এ থেকে জনগণ মুক্তি চায়।”

তিনি বলেন, “ভাষা দিবসে আমাদের দাবি অনতিবিলম্বে জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণ করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। অবৈধ সংসদ বাতিলের পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি স্বাধীনতার ৫১ বছর পরেও আজকে যারা দেশ পরিচালনা করছে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তারা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে একদলীয় সরকার প্রথা কায়েম করেছে। যে দেশে গণতন্ত্র থাকে না, সেই দেশে মানবাধিকার থাকে না। আজকে আমাদের দেশে মানবাধিকার নেই। আমাদের দেশের অর্থনীতির লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে ধ্বংস প্রায়। এ অবস্থায় আমরা ভাষা দিবস পালন করছি।”

এ সময় অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!