• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৫

ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মারা গেছেন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ১২:১২ এএম
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মারা গেছেন

সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও বিএনপির একসময়ের প্রভাবশালী নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সচিব আক্কাস আলী খান।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে সবশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ‘তৃণমূল বিএনপির’ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন নাজমুল হুদা। উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তার দল ইসির নিবন্ধন পায়।

এর আগে বিএনপি গঠনের সময়ই তিনি দলটিতে যুক্ত হন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তাকে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে নিয়েছিলেন।

এরপর খালেদা জিয়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে রেখেছিলেন হুদাকে। ১৯৯১ সালে ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। মাঝে একবার দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে পুনরায় ফিরেছিলেন তিনি। তবে ২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিএনএফ নামে নতুন দল গঠন করেন তিনি। পরে সেই দল থেকে তাকেই বহিষ্কার করে ২০১৪ সালে এমপি হন দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।

এরপর বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে দুটি নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়েন হুদা। তাতে সফল না হওয়ার পর ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে নতুন দল করেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ইসির নিবন্ধন পেতে আবেদন করে তৃণমূল বিএনপি। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন না করা, সরকার নির্ধারিত ফির চালান জমা না দেওয়া এবং নিবন্ধন দেওয়ার মতো তথ্য না থাকার কারণ দেখিয়ে তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে ইসি। নিবন্ধন না মেলায় ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা আদালতে যান। সেখানে আবেদনের পক্ষে আদেশ পেয়ে নিবন্ধন পায় নাজমুল হুদার দলটি।  

ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার জন্ম ১৯৪৩ সালে। ১৯৯১-৯৬ বিএনপি শাসনামলে তিনি তথ্যমন্ত্রী ও ২০০১-০৬ সময়কালে তিনি যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা-১ আসন থেকে তিনি বিএনপির হয়ে ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তিনি বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার আগে ২০১২ সাল পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন করলেও, কয়েক মাস পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এরপর তিনি ২০১৪ সালের মে মাসে বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং একই বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) গঠন করেন। ২০১৫ সালের নভেম্বরে তৃণমূল বিএনপি নামে তিনি পঞ্চম রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

৩১ দলের জোটের প্রধান হিসেবে হুদা ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জোটে যোগ দেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং পরাজিত হন।

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার বিচারে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।

Link copied!